নাসিরুদিনের এক বন্ধু ছিলেন সরাইখানার মালিক। কি একটা জরুরী প্রয়োজনে নাসিরুদিনের ওপর সরাইখানার ভার দিয়ে তিনি নিশ্চিন্ত মনে গন্তব্যস্থানে গেলেন।
দু’দিন পর ঐ সরাইখানার কাছ দিয়ে শিকারে যাচ্ছিলেন খোদ বাদশা । চমৎকার সরাইখান দেখে লোক-লস্কর নিয়ে সেই সরাইখানায় উঠে নাসিরুদ্দিনকে দেখে খুশী হলেন। চা-নাস্তা-পানি দিয়ে নাসিরুদিনও যথেষ্ট আপ্যায়ণ করলেন বাদশাকে।
শেষে বাদশার হাতে খরচের হিসেব ধরিয়ে দিতেই তার চক্ষুস্থির। বাদশা বললেন, ‘মোল্লা, তুমি একেকটা ডিমের দাম বেশ বেশী করে ধরেছ। তোমার এখানে ডিমের দাম কি এতই বেশী? রোজ কি এখানে মুরগীর ডিম আসে না?
কুর্ণিশ করতে করতে মোল্লা নাসিরুদিন বলেন,—“জনাব, মুরগীর ডিম, সত্যি বলতে কী, গ্রাম থেকেই রোজই আসে। কিন্তু জনাব, আপনি কি এই গরীবখানায় রোজ আসেন?
0 coment�rios: