Home Top Ad

Responsive Ads Here

Search This Blog

মণিপুরী রূপকথা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

    কোন এক অঞ্চলে একটি ছোট্ট গ্রাম ছিল। সেখানে বাস করত এক বুড়োবুড়ি দম্পতি। তাদের কোন ছেলেমেয়ে ছিল না। আত্মীয় স্বজন দূরসম্পৰ্কীয় বলতে ক...

    কোন এক অঞ্চলে একটি ছোট্ট গ্রাম ছিল। সেখানে বাস করত এক বুড়োবুড়ি দম্পতি। তাদের কোন ছেলেমেয়ে ছিল না। আত্মীয় স্বজন দূরসম্পৰ্কীয় বলতে কেউ নেই। বৃদ্ধের বয়স হয়েছে তাই তার শরীরের চামড়াও কুচকুচে কালো হয়ে পড়েছে। লাঠি ভর দিয়ে হাঁটতে হয়। যতই দিন যাচ্ছিল তার ভবিষ্যতের চিন্তায় অস্থির হয়ে পড়ল। ছেলেমেয়ে কেউ নেই বিধায় কাদের উপর নির্ভর করবে। তারা । তাদের জমানো সম্পদও পড়ে রাইবে অবেলায় ।
    একদিন বুড়ো বুড়িকে ডেকে বলল, “ও বুড়ি, তোমার এখনও ছেলেমেয়ে সন্তান পাবার আশা মিটল না । তাই তোমার জন্য একটা কন্যা সন্তান এনেছি। ঐ যে ঝুড়িটা দেখছ এরই মধ্যেই রয়েছে। ঝুড়ির ঢাকনা খুলে দেখ সুন্দর একটা কন্যারত্ব যত্ন করে রেখেছি।”

    এক দেশে এক রাজা ছিল। তার রাণী একটি পুত্র একটি কন্যা সন্তান রেখে মারা গেল। রাজা দুই সন্তানকে নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন দিন কাটাত। রাজা যখন ...

    এক দেশে এক রাজা ছিল। তার রাণী একটি পুত্র একটি কন্যা সন্তান রেখে মারা গেল। রাজা দুই সন্তানকে নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন দিন কাটাত। রাজা যখন রাজসভায় থাকত দুটি শিশু রাজপ্রাসাদের বাইরের বারান্দায় ছুটােছুটি করে খেলত, দাস-দাসীরাও তেমন খেয়াল করত না। প্রাসাদের বাইরে প্রাচীর ঘেঁষে ছিল প্রজাদের একটি ছোট গ্রাম। খেলাধূলা করতে শিশু দুটি পাশ্ববর্তী গ্রামেও চলে যেত। গ্রামের একজন মহিলা প্রতিদিন শিশুদের খাবার দিত। দই, চিড়া, কলা, মুড়ি খাওয়াত। মাঝে মধ্যে ক্ষীর রেঁধে খাওয়াত। শিশুদুটি পেটভরে খেয়ে মহিলাটির কথা শুনত। একদিন মহিলাটি বলল, তোমাদের বাবা যদি আমাকে রাজপ্রাসাদে নিতেন, তাহলে তো তোমাদের আরও আদর যত্ন করতাম। পরিষ্কার করে প্রতিদিন স্নান করাতাম আর ঘুমপাড়ানি মাসিপিসির গল্প শুনাতাম ।

    কোন এক রাজ্যে এক রাজা ছিল। সেই রাজ্যের রাজার ছিল একটি সুন্দর ফুলের বাগান। স্বর্গের পারিজাত ফুল থেকে শুরু করে এমন কোন ফুল নেই যে রাজার ব...

    কোন এক রাজ্যে এক রাজা ছিল। সেই রাজ্যের রাজার ছিল একটি সুন্দর ফুলের বাগান। স্বর্গের পারিজাত ফুল থেকে শুরু করে এমন কোন ফুল নেই যে রাজার বাগানে ফুটে না। গোলাপ, চামেলী, সূর্যমুখী আর চাঁপা ফুলের সুগন্ধের বাহার। রজনীগন্ধার মাঝে নিত্য ভ্রমর খেলা করত। আর মধু আহরণ করে বেড়াত। রাজা ভ্রমরের মৌ মৌ রবে নিজে গুনগুনিয়ে মনের অজান্তে গান গেয়ে উঠত। রাজ্যের হাজার কাজের মাঝেও এমন কোন দিন নেই যে রাজা বাগানে বেড়াতে যেত না। সুস্থ সুঠামদেহী পাহাড়াদার দিন রাত চব্বিশ ঘণ্টা বাগান তদারক করে থাকে। বাগানের মাঝখানে থাকত একটি আরাম কেদারা। রাজা মাঝে মধ্যে পরিশ্রান্ত হলে এখানে বিশ্রাম নিত। আর বাগানে ফুলের সৌন্দর্য অবলোকন করত। আলোর ঝলমল আভায় চোখ ধাঁধা লেগে যেত। হাজার হােক রাজার বাগান তো।

    এক দেশে ছিল একটি গ্রাম। সে গ্রামে ছিল একটি পরিবার। পরিবারে স্বামী-স্ত্রী ছাড়া আর কেউ নেই। স্ত্রীর নাম পাচতলেইমা। পাচতলেইমা ছিল খুব অলস...

    এক দেশে ছিল একটি গ্রাম। সে গ্রামে ছিল একটি পরিবার। পরিবারে স্বামী-স্ত্রী ছাড়া আর কেউ নেই। স্ত্রীর নাম পাচতলেইমা। পাচতলেইমা ছিল খুব অলস। পাশের বাড়ির বউ তাড়ালেইমা ছিল কর্মঠ। তাড়ালেইমার কাজ দেখে সবাই প্রশংসা করত। রাস যাত্রার নাচও সে খুব ভালো জানে। মৃদঙ্গর গমগম ধ্বনিতে তাড়ালেইমাবা বহুবার নেচেছে। শুধু তাই নয়, সে নানার ধরনের চাদর, গামছা, শাড়ি বুনতে পারে।
    পাচতলেইমার স্বামী একদিন স্ত্রীকে ডেকে বলল, ওহে গৃহলক্ষ্মী, তোমার মতো একজন তো পাশের বাড়িতেও আছে, ওর কারুকাজ তুমি কি দেখতে পাও না? বাড়িতে অতিথি এলে বসতে দেয়ার মতো কোনো কিছু নেই। অতিথিকে পরতে একটা বড় গামছাও দিতে পারব না। কেউ একজন ঘুমাতে এলে একটি বিছানার চাদরও নেই। এভাবে কী থাকা যায়? তুমি তোমার মায়ের বাড়ি চলে যাও।

    অনেক দিন আগের কথা। পাহাড়ের গা ঘেঁষে বয়ে চলেছে একটি ঝর্ণা, সেই ঝর্ণার ধারে ছিল একটি ছোট্ট গ্রাম। সেই গ্রামের প্রান্তে বাস করত এক বুড়ো...

    অনেক দিন আগের কথা। পাহাড়ের গা ঘেঁষে বয়ে চলেছে একটি ঝর্ণা, সেই ঝর্ণার ধারে ছিল একটি ছোট্ট গ্রাম। সেই গ্রামের প্রান্তে বাস করত এক বুড়ো-বুড়ি দম্পতি। তারা ছিল নিঃসন্তান। বুড়ো বয়সে তারা তেমন কাজ-কর্মও করতে পারত না। কাছের পাহাড়ে ছিল বন বাঁদরের বাস। ওরা মাঝে মধ্যে বুড়োর পশ্চিমের রবিশস্যের ক্ষেতে বিচরণ করত। আর এটা ওটা ফলমূল খেয়ে ফেলত। বুড়ো তাদের কোনদিন তেমন করে শাসায়নি। বলতে গেলে কলা করল্লার অর্ধেক অংশই তাদের পেটে যেত।
    সামনে কচুর মুখি লাগানোর মৌসুম। বুড়ো-বুড়ি ঠিক করল বাড়ির পিছনে বাঁশঝাড়ের নিকটে এক পোয়া জমিতে এবার ভালভাবে কচুর মুখি লাগাবে। একদিন বুড়ো-বুড়ি দুজনে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে জমি খোদাই করে নিল। পরদিন দ্বিতীয়বারের মত কুপিয়ে জমিকে উর্বর করে তুলল।

    কোন এক সময়ে এক মহাজন ও একজন টেটন (বুদ্ধিমান) একটি সংকীর্ণ পাৰ্ব্বত্যপথে বিপরীত দিক হতে এসে হঠাৎ এক স্থানে মিলিত হল; কিন্তু রাস্তা এরূপ...

    কোন এক সময়ে এক মহাজন ও একজন টেটন (বুদ্ধিমান) একটি সংকীর্ণ পাৰ্ব্বত্যপথে বিপরীত দিক হতে এসে হঠাৎ এক স্থানে মিলিত হল; কিন্তু রাস্তা এরূপ সংকীর্ণ যে তাতে একবারে একাধিক লোক যাতায়াত করতে পারে না। পথিকেরা উভয়ই গর্বিত যুবক। কে পথ ছেড়ে সরে দাঁড়াবে, এই ভাবনায় উভয়েই স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। মহাজন ভাবল, আমি দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ ধনী, আমার যেমন ধনসম্পত্তি তেমনি সম্মান, প্রতিষ্ঠা, আমি এই সামান্য লোকের জন্য এক পার্শ্বে সরে যাব কেন?
    টেটন ভাবল, ‍বুদ্ধির জন্যে রাজদরবারের আমার কত প্রতিপত্তি, আমি কেন সরে যাব। টেটন, কিছুক্ষণ পরে, নির্বোধ লোকের সহিত পথিমধ্যে কলহ করা বুদ্ধিমানের শোভা পায় না, এই ভেবে বিনা বাক্য ব্যয়ে একপার্শ্বে একটুকু সরে দাঁড়াল।