Home Top Ad

Responsive Ads Here

Search This Blog

বিদেশী রূপকথা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

        অনেককাল আগে এক গ্রামে একই নামের দুজন লোক থাকত। একজনের ছিল চারটে ঘোড়া, অন্যজনের মোটে একটি। কাজেই দুজনকে আলাদা করে চিনবার জন্য যে লো...

        অনেককাল আগে এক গ্রামে একই নামের দুজন লোক থাকত। একজনের ছিল চারটে ঘোড়া, অন্যজনের মোটে একটি। কাজেই দুজনকে আলাদা করে চিনবার জন্য যে লোকটার চারটে ঘোড়া তাকে সবাই বলত বড়ো ক্লাউস আর যার একটি ঘোড়া তাকে বলত ছোটো ক্লাউস।
        সারা সপ্তাহ ছোটো ক্লাউসকে বড়ো ক্লাউসের খেতে লাঙল দিতে হত আর ঘোড়াটি ধার দিতে হত। তার বদলে সপ্তাহে একটি দিন বড়ো ক্লাউস তাকে তার চারটি ঘোড়া ধার দিত; সে দিনটি ছিল রবিবার।
        সেদিন ছোটো ক্লাউসের কী গর্ব! পাঁচ ঘোড়ার মাথার উপর সে চাবুক ঘোরাত আর মনে মনে ভাবত, অন্তত এই একটা দিনের মতো সে পাঁচ ঘোড়ার মালিক! সেদিন গাঁয়ের সবাই সেজেগুজে গির্জা যাবার পথে দেখত ছোটো ক্লাউস তার পাঁচটি ঘোড়া হাঁকাচ্ছে। তার আহ্লাদ দেখে কে? বারে বারে চটাৎ চটাৎ করে শূন্যে চাবুক ঘোরায় আর চীৎকার করে বলে, “কেয়াবাৎ! কেয়াবাৎ! পাচ-পাঁচটা সেরা ঘোড়া আর সবকটি আমার!”

        অনেকদিন আগে একটি ছোটো ছেলে ছিল; এক দিন পা ভিজিয়ে ঠাণ্ডা লেগে, তার হল জ্বর। এদিকে খটখটে চমৎকার দিন তবু পা যে কি করে ভেজাল, তা কেউ ভ...

        অনেকদিন আগে একটি ছোটো ছেলে ছিল; এক দিন পা ভিজিয়ে ঠাণ্ডা লেগে, তার হল জ্বর। এদিকে খটখটে চমৎকার দিন তবু পা যে কি করে ভেজাল, তা কেউ ভেবেই পেল না। ওর মা কাপড়-চোপড় ছাড়িয়ে দিলেন বিছানায় শুইয়ে। তার পর মা ছোটো একটা চা-দানি নিয়ে এলেন, এলডার গাছের ফুল দিয়ে ছেলের জন্য ওষুধ তৈরি হবে। ঠিক সেই সময়, ওদের বাড়ির সব চাইতে উপর তলায় যে বুড়ো থাকত, সে-ও নেমে এল। বেচারি একেবারে একা থাকত, ওর না ছিল একটা বৌ, না ছিল ছেলেপুলে! কিন্তু পাড়া-পড়শীদের ছেলেমেয়েদের বুড়ো বেজায় ভালোবাসত আর তাদের কত যে চমৎকার সব রূপকথা আর গল্প বলত যে দেখলেও ভালো লাগত।

        এক সেপাই চলেছে রাজপথ ধরে, ডান-বাঁ, ডান-বাঁ। পিঠে তার পুঁটলি, পাশে ঝুলছে তলোয়ার; যুদ্ধ থেকে সে বাড়ি যাচ্ছে। পথের মধ্যে এক বুড়ি ডা...

        এক সেপাই চলেছে রাজপথ ধরে, ডান-বাঁ, ডান-বাঁ। পিঠে তার পুঁটলি, পাশে ঝুলছে তলোয়ার; যুদ্ধ থেকে সে বাড়ি যাচ্ছে। পথের মধ্যে এক বুড়ি ডাইনীর সঙ্গে দেখা, তার বিকট চেহারা।
        ডাইনী বলল, “নমস্কার,সেপাই। বাঃ, তোমার তলোয়ারটি যেমনি ঝকঝকে, পুঁটলিটিও তেমনি বড়ো। আছ বেশ! বলব কি তোমাকে, ইচ্ছা করলেই যত চাও তত টাকা পেতে পার।”
        সেপাই বলল, “ধন্যবাদ, বুড়ি-মা!”
        পথের ধারের একটা গাছ দেখিয়ে বুড়ি বলল, “ঐ যে প্রকাণ্ড গাছটা দেখছ? ওটি একেবারে ফোপরা। গাছের আগায় চড়লে দেখবে একটা মস্ত ফুটো; তার ভেতর দিয়ে তুমি স্বচ্ছন্দে গলে একেবারে গাছের গুড়ির ভিতর দিয়ে নেমে যেতে পারবে। আমি তোমার কোমরে একটা দড়ি বেঁধে বসে থাকব, ডাক দিলেই তোমাকে টেনে তুলব।”

        এক সময় এক গ্রামে আর সবাই ছিল ধনী, একজন মাত্র গরিব। লোকে তাকে বলত ‘ক্ষুদে চাষী’। তার না ছিল কোনো গোরু, না ছিল গোরু কেনবার টাকা। কিন...

        এক সময় এক গ্রামে আর সবাই ছিল ধনী, একজন মাত্র গরিব। লোকে তাকে বলত ‘ক্ষুদে চাষী’। তার না ছিল কোনো গোরু, না ছিল গোরু কেনবার টাকা। কিন্তু তার আর তার বউয়ের একটা গোরুর খুবই দরকার ছিল। ক্ষুদে চাষী একদিন তার বউকে বলল, “আমার মাথায় খুব ভালো একটা ফন্দি এসেছে। তুমি তো জানো গাফফের শ্রেইনার নামে এক ছুতোর আছে। সে কাঠ থেকে এমন একটা বাছুর বানিয়ে বাদামী রঙ করে দিতে পারে যেটাকে দেখতে হবে অবিকল বাছুরের মতো। কালে সেটা বড়ো হয়ে আমাদের জন্যে একটা গোরুর বাচ্ছা পাড়বে।”
        কথাটা বউয়ের মনে ধরল। আর গাফফের শ্রেইনার কাঠ কেটে রঙ করে তাদের জন্য এমন একটা বাছুর বানিয়ে দিল যেটার মাথা নাড়ানো যায়। মাথাটা নীচের দিকে নামিয়ে দিলে মনে হয় সেটা ঘাস খাচ্ছে।

        এক সময় ছিলেন এক রাজা। তার তিন ছেলে। বড়ো দুজন চালাক-চতুর। কিন্তু ছোটোটি নিরীহ আর শান্ত। তাই লোকে তাকে বলত হাদাগঙ্গারাম। রাজা বুড়ো...

        এক সময় ছিলেন এক রাজা। তার তিন ছেলে। বড়ো দুজন চালাক-চতুর। কিন্তু ছোটোটি নিরীহ আর শান্ত। তাই লোকে তাকে বলত হাদাগঙ্গারাম। রাজা বুড়ো হবার পর ভাবতে শুরু করলেন—তাঁর পর কোন ছেলে সিংহাসনে বসবে। একদিন ছেলেদের ডেকে তিনি বললেন, “তোমরা বেরিয়ে পড়ো। আমার জন্যে যে সব চেয়ে সুন্দর গালচে নিয়ে আসতে পারবে, আমার মৃত্যুর পর সেই হবে রাজা।” এইনা বলে তাদের নিয়ে রাজা দুর্গের সামনে গিয়ে ফুঁ দিয়ে তিনটি পালক উড়িয়ে দিলেন। তার পর বললেন, “এই তিনটে পালক যেদিকে যাবে তোমরা তিনজন সেদিকে যেয়ো।” একটা পালক উড়ে গেল পুবে, একটা পশ্চিমে আর তৃতীয়টা সামনের দিকে খানিক গিয়ে মাটিতে পড়ে গেল। তাই এক ভাই গেল পুবে, এক ভাই পশ্চিমে। সামনে খানিক গিয়ে যে পালকটা পড়েছিল বোকা ছোটো ভাইটাকে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তারা টিটকিরি দিয়ে হাসল।

        এক সময় এক রাজার দুই ছেলে অ্যাডভেঞ্চারের খোঁজে বেরিয়ো পড়ল। কিন্তু বদ-সঙ্গে পড়ে বাজে আমোদ-প্রমোদে মশগুল হয়ে বাড়ি ফিরল না। ছোটো ...

        এক সময় এক রাজার দুই ছেলে অ্যাডভেঞ্চারের খোঁজে বেরিয়ো পড়ল। কিন্তু বদ-সঙ্গে পড়ে বাজে আমোদ-প্রমোদে মশগুল হয়ে বাড়ি ফিরল না। ছোটো ভাইকে তারা বলত গোবুচন্দ্র! সে বেরুল তার বড়ো ভাইদের খোঁজে। ভাইদের সঙ্গে তার দেখা হতে ভাইরা তাকে নিয়ে অনেক ঠাট্টা-তামাশা করল। বলল, তার মতো হাদাগঙ্গারামকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। বলল, তাদের মতো চালাক-চতুর লোক যে পৃথিবীতে কিছুই করতে পারে নি সেখানে তার মতো লোক কোনো পাত্তাই পাবে না।
        যাই হোক, একসঙ্গে যেতে-যেতে তারা পৌছল এক পিঁপড়ের ঢিবিতে। বড়ো ভাইরা বলল ঢিবিটা ভেঙে পিঁপড়েদের ডিম মুখে নিয়ে চার দিকে ছুটোছুটি করতে দেখলে তারা খুব মজা পাবে। কিন্তু তাদের বোকা ছোটো ভাই বলল, “আহা, বেচারা পিঁপড়েদের কেন মিছিমিছি সর্বনাশ করবে? ঢিবিটা আমি ভাঙতে দেবো না।”

        আরো খানিক গিয়ে তারা পৌছল এক হ্রদে। অনেক হাঁস সেখানে সাঁতার কাটছিল। বড়ো ভাইরা বলল সেখান থেকে দুটো হাঁস নিয়ে ঝলসে খাবে। কিন্তু তাদের বোকা ছোটো ভাই বলল, “আহা বেচারাদের মেরো না। ওদের আমি মারতে দেবো না।”
        আরো থানিক গিয়ে একটা গাছে তারা দেখে মধুতে টুসটুসে একটা মৌচাক। গাছটার গুড়ি দিয়ে মধু গড়িয়ে পড়ছিল। বড়ো ভাইরা বলল গাছের তলায় আগুন জ্বেলে ধোঁয়া দিয়ে মৌমাছিদের তাড়িয়ে মধু নেবে। কিন্তু তাদের বোকা ছোটো ভাই বলল, “আহা, বেচারী; মৌমাছিদের কেন সর্বনাশ করবে? ওদের আমি পোড়াতে দেবো না।”
        শেষটায় তিন ভাই পৌছল এক দুর্গে। সেখানকার আস্তাবলের ঘোড়াগুলো পাথর হয়ে গিয়েছিল ৷ কিন্তু লোকজন কাউকে দেখা গেল না। সব ঘরগুলো ঘোরার পর তারা পৌঁছল একটা দরজায়। সেটায় ছিল তিনটে হুড়কো। দরজাটার মাঝখানের ছোট্টো ফোকর দিয়ে তাকিয়ে তারা দেখে ঘরের মধ্যে একটা টেবিলের সামনে বসে রয়েছে: ছোটোখাটো একটি লোক। চুলগুলো তার পাকা। তাকে বার দুয়েক তারা ডাকল। কিন্তু মনে হল না তাদের কথা সে শুনতে পেয়েছে। তৃতীয়বার ডাকার পর লোকটা উঠে দরজা খুলে তাদের কাছে এল। কোনো কথা না বলে তাদের সে নিয়ে গেল নানা খাবার-ভরা একটা টেবিলের কাছে। খাওয়া-দাওয়ার পর তাদের সে নিয়ে গেল তিনটে আলাদা আলাদা শোবার ঘরে।
        পরদিন সকালে সেই ছোট্টোখাটো বুড়ো মানুষটি এসে হাতছানি দিয়ে বড়ো ভাইকে ডেকে নিয়ে গেল এক পাথরের টেবিলের কাছে। দুর্গকে জাদুমুক্ত করার তিনটে কাজের কথা সেখানে ছিল লেখা! প্রথম কাজটা হল; বনের মাঝখানে জলা-জমিতে রাজকন্যের যে হাজারটা মুক্তো পোঁতা হয়েছিল সেগুলো খুঁজে বার করা। যে খুঁজতে যাবে সন্ধের আগে সে যদি সব মুক্তোগুলো খুঁজে না পায় তা হলে সে হয়ে যাবে পাথর। সারাদিন ধরে বড়ো ভাই মুক্তোগুলো খুঁজল—কিন্তু সন্ধের মধ্যে একশোটার বেশি খুঁজে পেল না। তাই টেবিলের লেখা অনুযায়ী সে হয়ে গেল পাথর। পরদিন মেজোভাই গেল মুক্তোর খোঁজে। কিন্তু বড়ো ভাইয়ের মতোই সব মুক্তো সে খুঁজে পেল না। সে পেল মাত্র দুশোটা। তাই সে-ও হয়ে গেল পাথর।
        শেষটায় মুক্তো খোঁজার পালা এল সেই বোকা ছোটো ভাইয়ের। জলা-জমিতে মুক্তোগুলো খুঁজতে সে শুরু করল। কিন্তু কাজটা করা অসম্ভব দেখে একটা পাথরে বসে সে লাগল কাঁদতে। এমন সময় পাঁচহাজার প্রজা নিয়ে হাজির হল পিঁপড়েদের রাজা, যার জীবন সে বাঁচিয়েছিল। মুহুর্তের মধ্যে ক্ষুদে-ক্ষুদে পিপড়েগুলো সব মুক্তো খুঁজে এনে এক জায়গায় জড় করে রাখল।
        দ্বিতীয় কাজটা হল: হ্রদের তলা থেকে রাজকন্যের শোবার ঘরের চাবি তুলে আনা। ছোটো ভাই জলের কাছে আসতে, যে হাঁসদের প্রাণ সে বাঁচিয়েছিল তারা এল সাঁতরে। আর তার পর জলে ডুব দিয়ে তারা তুলে আনল চাবিটা।
        কিন্তু তৃতীয় কাজটাই ছিল সব চেয়ে কঠিন। সেটা এই: যে তিন রাজ কন্যে ঘুমিয়ে রয়েছে তাদের মধ্যে সব চেয়ে ছোটো আর সব চেয়ে সুন্দরীকে হাত দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া। তিন রাজকন্যেকেই দেখতে হুবহু একরকম। তাদের মধ্যে একমাত্র যেটা তফাত সেটা এইঃ ঘুমবার আগে বড়ো রাজকন্য খেয়েছিল এক টুকরো মিছরি, মেজো খেয়েছিল এক চোক সিরাপ আর ছোটো খেয়েছিল এক চামচে মধু।
        কিন্তু ছোটো ভাইকে সাহায্য করতে এল মৌমাছিদের রানী, যাকে সে বাঁচিয়েছিল আগুন থেকে। তিন রাজকন্যের মুখের উপর উড়তে লাগল মৌমাছির রানী। তার পর যে-রাজকন্যে মধু খেয়েছিল তার ঠোঁটের উপর নামল সে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে দেখিয়ে দিল ছোটো ভাই।
        দুর্গ হয়ে গেল জাদুমুক্ত। সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার সবাইকার জাদুর ঘুম ভাঙল। যারা পাথর হয়ে গিয়েছিল তারা আবার ফিরে পেল মানুষের দেহ। যে ছোটো ভাইকে সবাই বলত বোকা তার সঙ্গেই বিয়ে হল সব চেয়ে সুন্দরী ছোটো রাজকন্যের আর তার বাবার মৃত্যুর পর সে-ই হল রাজা। তার বড়ো দুভাই বিয়ে করল অন্য দুই রাজকন্যেকে।

        গ্রীষ্মকালের সুন্দর এক সকালে ক্ষুদে এক দর্জি জানলার পাশে তার টেবিলের সামনে বসে হাত চালিয়ে ছুঁচ দিয়ে সেলাই করছিল। এমন সময় পথ দিয়...

        গ্রীষ্মকালের সুন্দর এক সকালে ক্ষুদে এক দর্জি জানলার পাশে তার টেবিলের সামনে বসে হাত চালিয়ে ছুঁচ দিয়ে সেলাই করছিল। এমন সময় পথ দিয়ে যেতে-যেতে এক চাষী-মেয়ে হেঁকে চলল, “চাই ভালো সস্তা মারমালেড! ভালো সম্ভা মারমালেড” (কমলালেবুর মোরব্বা)। সেই হাঁক শুনে দর্জির লোভ হল। জানলা দিয়ে কোঁকড়াচুল-ভরা মাথা বার করে সে বলল, “এসো গো ভালোমানুষের বউ। তোমার সওদার খদ্দের এখানে রয়েছে।”
        ভারী চুবড়িটা নিয়ে সিঁড়ি ভেঙে সেই চাষী-মেয়ে দর্জির কাছে এসে তার কথামতো সব পাত্রগুলো সে বার করল। দর্জি একটা একটা করে পাত্রগুলো নাকের সামনে ধরে শেষটায় বলল, “ভালো— মানুষের বউ, চার আউন্স আমাকে ওজন করে দাও। পৌনে এক পাউণ্ড হলেও আপত্তি নেই।”

        যে-কুকুরটি ভেড়ার পাল পাহারা দিত তার প্রভু ছিল নিষ্ঠুর। তাকে সে পেট ভরে খেতে দিত না। প্রভুর ব্যবহার অসহ্য হয়ে উঠলে বিষণ্ণ মনে তার...

        যে-কুকুরটি ভেড়ার পাল পাহারা দিত তার প্রভু ছিল নিষ্ঠুর। তাকে সে পেট ভরে খেতে দিত না। প্রভুর ব্যবহার অসহ্য হয়ে উঠলে বিষণ্ণ মনে তার বাড়ি ছেড়ে সে চলে গেল। পথে তার সঙ্গে এক চড়ুইয়ের দেখা। চড়ুই তাকে বলল, “কুকুর ভায়া, তোমাকে আমন মনমরা দেখাচ্ছে কেন?”
        কুকুর বলল, “আমার ক্ষিদে পেয়েছে। কিছুই খেতে পাই নি।”
        তার কথা শুনে চড়ুই বলল, “আমার সঙ্গে শহরে এসো। পেট ভরে খেতে দেব।”
        একসঙ্গে শহরে আসার পর তারা পৌছল এক কসাইয়ের দোকানে। চড়ুই তখন কুকুরকে বলল, “ঐখানটায় দাড়াও। তোমার জন্যে এক টুকরো মাংস ঠোঁটে করে নিয়ে আসছি।”

        এক সময় ছিল গরিব একটি লোক। এমন গরিব যে নিজের একমাত্র ছেলেকে মানুষ করার সঙ্গতি তার ছিল না। তাই ছেলে তাকে বলল, “বাবা, তোমার অবস্থা এ...

        এক সময় ছিল গরিব একটি লোক। এমন গরিব যে নিজের একমাত্র ছেলেকে মানুষ করার সঙ্গতি তার ছিল না। তাই ছেলে তাকে বলল, “বাবা, তোমার অবস্থা এতই খারাপ যে আমি তোমার কাছে একটা বোঝার মতো। বেরিয়ে পড়ে দেখি, নিজের রুটি নিজে রোজগার করতে পারি কি পারি না।” বাবা তাকে আশীর্বাদ করে মনের দুঃখে বিদায় দিল।
        সে-সময় এক শক্তিশালী এলাকার রাজা যুদ্ধ করছিল। সেই তরুণ তার সৈন্যদলে যোগ দিয়ে চলে গেল যুদ্ধ করতে। শক্রর সেনা দারুণ লড়তে লাগল। সেই তরুণ আর তার দলের সৈন্যদের উপর বৃষ্টির মতো নীল বুলেট লাগল ঝরতে। তার দলের অনেকেই গেল মারা। অন্যরা চাইল পালাতে। কিন্তু সেই তরুণ এগিয়ে গিয়ে বলল, “ভয় পেয়ে কাপুরুষের মতো পালিয়ো না। আমাদের পিতৃভূমিকে কিছুতেই আমরা ছেড়ে যাব না।” তার কথা শুনে তারা আবার যুদ্ধ করতে ফিরে গেল আর ফিরে গিয়ে নিঃশেষ করে দিল শত্ৰু-সেনা। সেই তরুণের জন্য জয়ী হয়েছেন শুনে রাজা তাকে প্রধান অফিসার করলেন, দিলেন অনেক ধনসম্পত্তি আর করলেন তাকে নিজের প্রধান উপদেষ্টা। রাজার ছিল একটি মেয়ে। যেমন রূপসী তেমনি খামখেয়ালী। সে পণ করেছিল এমন কাউকে বিয়ে করবে যাকে প্রথমে অঙ্গীকার করতে হবে সে মারা গেলে একই কবরে তার সঙ্গে সে যাবে জীবন্ত অবস্থায়। রাজকন্যে বলেছিল, “আমাকে সত্যিকারের ভালোবাসলে আমি মরবার পর আমার স্বামী আর বেঁচে থাকতে চাইবে না।” এ কথাও সে বলেছিল -স্বামী আগে মারা গেলে তার সঙ্গে সে-ও জীবন্ত অবস্থায় যাবে কবরে।

        শীতকালের মাঝামাঝি একবার পাখির পালকের মতো তুষারের পাপড়ি ঝরছিল আকাশ থেকে আর এক রানী জানলার পাশে বসে কালো আবলুস কাঠের ফ্রেমের মধ্যে ...

        শীতকালের মাঝামাঝি একবার পাখির পালকের মতো তুষারের পাপড়ি ঝরছিল আকাশ থেকে আর এক রানী জানলার পাশে বসে কালো আবলুস কাঠের ফ্রেমের মধ্যে ছুঁচের কারুকাজ করছিল। কাজ করতে করতে বাইরেকার তুষারপাপড়ির দিকে তাকাতে ছুঁচটা তার আঙুলে ফুটে গেল আর তিন ফোটা রক্ত পড়ল তুষারের উপর। তুষারের উপর লাল রক্ত ভারি সুন্দর দেখাচ্ছিল বলে রানী মনে মনে বলল, “তুষারের মতো সাদা আর রক্তের মতো টুকটকে আর মাথায় এই আবলুস কাঠের মতো কালো চুল নিয়ে আমার একটি শিশু থাকলে খুব ভালো লাগত।’

        প্রকাণ্ড একটা বনের কাছে এক সময় থাকত গরিব এক কাঠুরে, তার বউ আর তার দুই ছেলেমেয়ে। ছেলেটির নাম হান্‌সেল আর ছোট্টো মেয়েটির নাম গ্রে...

        প্রকাণ্ড একটা বনের কাছে এক সময় থাকত গরিব এক কাঠুরে, তার বউ আর তার দুই ছেলেমেয়ে। ছেলেটির নাম হান্‌সেল আর ছোট্টো মেয়েটির নাম গ্রেথেল। খাবার-দাবার খুব কমই তাদের কপালে জুটত। সেবার, দেশে যখন দুর্ভিক্ষ, প্রতিদিন রুটিও তারা জোগাড় করতে পারত না। সে-রাতে বিছানায় শুয়ে কাঠুরের চোখে ঘুম নেই। নানা দুশ্চিন্তা তার মনে। দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে করুণ স্বরে বউকে সে বলল, "আমাদের বরাতে কী আছে বল দেখি? আমাদেরই খাবার নেই, বাচ্ছা দুটোকে কী করে খাওয়াই?” তার বউ বলল, “কী করতে হবে বলি-শোনো। কাল খুব ভোরে ছেলেমেয়েদের নিয়ে আমরা বনে যাব ৷ গহন বনের মধ্যে তাদের জন্যে আগুন জালিয়ে, এক টুকরো করে রুটি দিয়ে, সেখানে তাদের রেখে আমরা যাব আমাদের কাজে। তারা কিছুতেই বাড়ি ফেরার পথ খুঁজে পাবে না। আমাদের ঘাড় থেকে বোঝা নামবে।

        একবার এক মোরগ আর মোরগ-বউ স্থির করল বেড়াতে বেরুবে। চারটে লাল চাকা দিয়ে মোরগ-বউ একটা জুড়িগাড়ি তৈরি করাল। সেটায় জুতে দেওয়া হল চ...

        একবার এক মোরগ আর মোরগ-বউ স্থির করল বেড়াতে বেরুবে। চারটে লাল চাকা দিয়ে মোরগ-বউ একটা জুড়িগাড়ি তৈরি করাল। সেটায় জুতে দেওয়া হল চারটে ইঁদুর। গাড়িতে বরের পাশে গিয়ে বসল মোরগ-বউ। গাড়িটা খানিক যেতে-না-যেতে তাদের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল এক বেড়ালের ৷ বেড়াল জিজ্ঞেস করল, “কোথায় তোমরা চলেছ?”
        মোরগ-বউ বলল, “চলেছি মিস্টার বাসকার্টের সঙ্গে দেখা করতে।”
        বেড়াল বলল, “আমাকেও সঙ্গে নিয়ে চলো।”

        এক সময় এক গরিব চাষীর কোনো জমিজমা ছিল না। থাকার মধ্যে ছিল ছোট্টো একটি কুঁড়েঘর আর এক মেয়ে। মেয়েটি তাই একদিন তার বাবাকে বলল, “আমা...

        এক সময় এক গরিব চাষীর কোনো জমিজমা ছিল না। থাকার মধ্যে ছিল ছোট্টো একটি কুঁড়েঘর আর এক মেয়ে। মেয়েটি তাই একদিন তার বাবাকে বলল, “আমাদের কিছুটা জমি দিতে রাজাকে বলা দরকার।”
        তাদের অভাবের কথা শুনে রাজা দিলেন বিঘে থানেক জমি। সেখানে বীজ বোনার জন্য চাষী আর তার মেয়ে জমিতে লাঙল দিতে শুরু করল। কাজ যখন প্রায় শেষ হয়ে এসেছে তারা দেখে মাটির মধ্যে রয়েছে খাটি সোনার একটা খল।
        চাষী তার মেয়েকে বলল, “রাজা দয়া করে জমিটা দিয়েছেন। তাই এই খলটা তাকে দিয়ে দেওয়া দরকার।”

        এক সময় ক্ল্যাব নামে ছিল গরিব এক চাষী। একদিন দুটো বলদে-টানা গাড়িতে শহরে কাঠ নিয়ে গিয়ে ছ শিলিং দিয়ে এক ডাক্তারকে সেটা সে বিক্রি...

        এক সময় ক্ল্যাব নামে ছিল গরিব এক চাষী। একদিন দুটো বলদে-টানা গাড়িতে শহরে কাঠ নিয়ে গিয়ে ছ শিলিং দিয়ে এক ডাক্তারকে সেটা সে বিক্রি করল। যখন তাকে দাম চুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে সে দেখল খুব ভালো-ভালো খাবার-দাবার নিয়ে ডাক্তার বসেছে খেতে। তাই তার খুব সাধ হল ডাক্তার হবার। সেখানে খানিক ঘুরঘুর করার পর ডাক্তারকে চাষী প্রশ্ন করল, সে-ও ডাক্তার হতে পারে কি না।
        ডাক্তার বলল, “নিশ্চয়ই। এটা আর এমন শক্ত কাজ কী।”
        চাষী প্রশ্ন করল, “কী-কী আমায় করতে হবে?”

        এক সময় এক গরিব লোক ছিল। অনেক তার বয়স। চোখের সে ভালো দেখত না, কানে শুনত খুব কম আর সব সময় থরথর করে কাঁপত তার হাটু ৷ খাবার টেবিলের...

        এক সময় এক গরিব লোক ছিল। অনেক তার বয়স। চোখের সে ভালো দেখত না, কানে শুনত খুব কম আর সব সময় থরথর করে কাঁপত তার হাটু ৷ খাবার টেবিলের সামনে বসে খাবার সময় হাত থেকে তার খসে পড়ত চামচে। ফলে টেবিল-চাকার উপর সুপ উপছে পড়ত, তার কষ বেয়েও সুপ গড়াত। তার ছেলে আর ছেলের বউ বুড়োকে একেবারে বরদাস্ত করতে পারত না, ভারি ঘেন্না করত তাকে। শেষটায় ঘরের এক কোণে উনুনের পিছনে তাকে তারা সরিয়ে দিল। পুরনো একটা মাটির ভাড়ে তাকে তারা নামমাত্র খেতে দিত। প্রায়ই জল-ভরা চোখে বিষণ্ণ মুখে খাবার টেবিলের দিকে সে থাকত তাকিয়ে। একদিন তার হাত কেঁপে মাটির সেই ভাড়টা মেঝেয় পড়ে ভেঙে গেল। তাই দেখে তার ছেলের তরুণী বউ ভীষণ রেগে তাকে খুব গালি-গালাজ করল। বুড়ো লোকটি ভয় পেয়ে কোনো জবাব দিল না। মাথা হেট করে শুধু ফেলল দীর্ঘশ্বাস। বুড়োর জন্যে দু ফাদিং দিয়ে তারা কিনে আনল কাঠের একটা বাটি আর সেই বাটি থেকেই বুড়ো লোকটিকে খেতে হত খাবার।

        এক বুড়ি ছাগলের সাতটা ছানা ছিল। সব মা নিজের ছেলেপুলেদের যেরকম ভালোবাসে সেরকমই সে ভালোবাসত তার ছানাগুলোকে। একদিন খাবার জোগাড় করতে ...

        এক বুড়ি ছাগলের সাতটা ছানা ছিল। সব মা নিজের ছেলেপুলেদের যেরকম ভালোবাসে সেরকমই সে ভালোবাসত তার ছানাগুলোকে। একদিন খাবার জোগাড় করতে তাকে যেতে হল বনে। তাই সাতটা ছানাকে কাছে ডেকে সে বলল, “বাছারা, সাবধানে থাকিস। আমি বনে বেরুলে নেকড়েটাকে ঢুকতে দিস না। ঢুকতে পেলেই তোদের সবাইকে সে গবগব করে খেয়ে ফেলবে। বুড়ো শয়তানটা প্রায়ই ভোল পালটে আসে। তার হেঁড়ে গলা শুনলে আর কালো পা দেখলেই তোরা চিনতে পারবি।”
        ছানারা বলল, “মামণি, আমরা সাবধানে থাকব। নিশ্চিন্ত মনে তুমি যাও।”
        হাঁফ ছেড়ে নিশ্চিন্ত মনে তাদের বুড়ি মা পথে বেরুল।

        এক সময় দুই ভাই ছিল। একজন ধনী, একজন গরিব। ধনী ভাই স্যাকরা। লোকটাও পাজি। গরিব ভাই ঝাঁটা বানিয়ে সংসার চালায়। লোকটা ভালো আর সৎ। গরি...

        এক সময় দুই ভাই ছিল। একজন ধনী, একজন গরিব। ধনী ভাই স্যাকরা। লোকটাও পাজি। গরিব ভাই ঝাঁটা বানিয়ে সংসার চালায়। লোকটা ভালো আর সৎ। গরিব ভাইয়ের দুই ছেলে। তারা যমজ। চেহারা হুবহু এক—যেন দু ফোটা জল। মাঝে মাঝে ধনী স্যাকরার বাড়ি যায়, এঁটোকাঁটা কুড়িয়ে আনে। এখন হল কি, গরিব লোকটি একদিন বনে গেছে কাঠকুটো কুড়-তে। সেখানে দেখে সোনার একটা পাখি। জীবনে অমন সুন্দর পাখি সে দেখে নি। একটা ছোটো পাথর তুলে পাখিটার দিকে সে ছুড়ল আর অবাক হয়ে দেখল পাখির গায়ে সেটা লেগেছে। পাথর লাগতে সোনার একটা পালক পড়ল আর পাখিটা গেল উড়ে। সোনার পালকটা কুড়িয়ে নিয়ে সে গেল তার স্যাকরা ভাইয়ের কাছে। ভাই তাকে দিল অনেক টাকাকড়ি। কারণ পালকটা ছিল খাটি সোনার। পরদিন ডালপালা কাটার জন্য লোকটি উঠল এক বার্চগাছে। সঙ্গে সঙ্গে সেই পাখিটাই গেল উড়ে। এদিকওদিক তাকাতে তার চোখে পড়ল পাখির বাসায় রয়েছে সোনার একটা ডিম। স্যাকরা-ভাইয়ের কাছে ডিমটা নিয়ে যেতে তাকে সে বলল, “এটা খাঁটি সোনা।” তার পর ডিমের বদলে তাকে দিল অনেক টাকাকড়ি। তার পর স্যাকরা বলল, “এবার কিন্তু আসল পাখিটা চাই।” গরিব লোকটি তৃতীয়বার বনে গিয়ে দেখে একটা ডালে বসে আছে পাখিটা। পাথর ছুড়তেই পাখিটা মরে পড়ে গেল। স্যাকরার কাছে সেটা নিয়ে যেতে গরিব ভাইকে সে দিল অনেক-অনেক টাকাকড়ি। গরিব ভাই ভাবল, “যাক, এবার আমার দুঃখ-দুর্দশা ঘুচবে।” খুব -খুশি হয়ে সে বাড়ি ফিরল।

        এক কালে এক গ্রামে থাকত এক বুড়ি। এক থালা মটরশুটি তোলার পর সেগুলো রান্না করার তোড়জোড় সে করতে লাগল। উনুনটা ধরিয়ে আঁচ গণগণে করে তো...

        এক কালে এক গ্রামে থাকত এক বুড়ি। এক থালা মটরশুটি তোলার পর সেগুলো রান্না করার তোড়জোড় সে করতে লাগল। উনুনটা ধরিয়ে আঁচ গণগণে করে তোলার জন্য সে তাতে ভরল একমুঠো খড়। মটরশুটিগুলো হাড়িতে ফেলার সময় তাদের একটা মেঝের উপর একটা খড়ের পাশে গিয়ে পড়ল, বুড়ি সেটা লক্ষ্য করে নি। খানিক পরে গণগণে এক টুকরো কয়লা উনুন থেকে লাফিয়ে বেরিয়ে এল তাদের কাছে।
        খড়টা বলতে শুরু করল, “বন্ধু, কোথা থেকে আসছ?”
        কয়লা বলল, “ভাগ্যি ভালো—আগুনের কাছ থেকে পালাতে পেরেছি। পালাতে চেষ্টা না করলে পুড়ে ছাই হয়ে যেতাম।”

        এক সময়ে একটি লোক ছিল। নাম তার ফ্রেডি। অার একটি মেয়ে ছিল তার নাম ক্যাথারিন-লিজ। বিয়ের পর একসঙ্গে তারা সংসার করতে লাগল।         ...

        এক সময়ে একটি লোক ছিল। নাম তার ফ্রেডি। অার একটি মেয়ে ছিল তার নাম ক্যাথারিন-লিজ। বিয়ের পর একসঙ্গে তারা সংসার করতে লাগল।
        ফ্রেডি একদিন বলল, “ক্যাথারিন-লিজ, আমি ক্ষেতে যাচ্ছি। ফিরে যেন দেখি টেবিলে গরম খাবার আর তেষ্টা মেটাবার তাজা বিয়ার মজুত থাকে ৷”
        ক্যাথারিন-লিজ বলল, “তুমি যাও, ফ্রেডি । দুর্ভাবনা কোরো না । সব-কিছু ঠিকঠাক মজুত থাকবে।”
        ডিনারের সময় হলে চিমনি থেকে একটা সসেজ পেড়ে কড়াইতে মাখন দিয়ে উনুনে সেটা সে চাপাল ভাজতে। চিড় বিড়, শব্দ করে ভাজা হতে লাগল সসেজ টা। কড়াই-এর হাতল ধরে ক্যাথারিন-লিজ ভাবতে জাগল, সসেজ টা যতক্ষণ ভাজা হচ্ছে আমি ততক্ষণ মাটির তলার ঘর থেকে বিয়ার নিয়ে আসি-গে।”

        এক সময় ছিল তিন ভাই। ক্রমশ তারা ভারি গরিব হয়ে পড়ে। শেষটায় তাদের অবস্থা এমন খারাপ হয়ে পড়ল যে, দু-মুঠো খাবারও জোটে না। নিজেদের ম...

        এক সময় ছিল তিন ভাই। ক্রমশ তারা ভারি গরিব হয়ে পড়ে। শেষটায় তাদের অবস্থা এমন খারাপ হয়ে পড়ল যে, দু-মুঠো খাবারও জোটে না। নিজেদের মধ্যে তখন তারা বলাবলি করল, "এভাবে আর চলে না। বেরিয়ে পড়ে আমাদের ভাগ্য পরীক্ষা করা যাক৷” এই-না বলে তারা বেরিয়ে পড়ল৷ নানা পাহাড় আর উপত্যকা পেরিয়ে অনেক দূর--তারা গেল। কিন্তু তবুও কপাল তাদের ফিরল না। আরো যেতে যেতে তারা পৌছল এক গহন বনে। সেই বনের মাঝখানে ছিল একটা ঢিবি। কাছে গিয়ে তারা দেখে ঢিবিটা রুপোয় ঠাসা। বড়ো ভাই তখন বলল, “জীবনের সব আনন্দ এখন পেলাম।” এই-না বলে যতটা পারল রুপো নিয়ে সে বাড়ি ফিরে গেল। কিন্তু অন্য দুভাই বলল, “রুপোর চেয়ে বেশি কিছু না পেলে আমরা সুখী হব না।” তাই তারা রুপো না নিয়ে চলল এগিয়ে।