Home Top Ad

Responsive Ads Here

Search This Blog

    দক্ষিণাত্যে ধর্মপুর নামে এক নগর ছিল। সেই নগরে মহাবল নামে এক ক্ষমতাশালী রাজা ছিলেন । প্রতিপক্ষ রাজা প্রচুর সৈন্য নিয়ে রাজধানী অবরোধ করলে...

বেতালপঞ্চবিংশতি: পঞ্চবিংশতি গল্প

    দক্ষিণাত্যে ধর্মপুর নামে এক নগর ছিল। সেই নগরে মহাবল নামে এক ক্ষমতাশালী রাজা ছিলেন । প্রতিপক্ষ রাজা প্রচুর সৈন্য নিয়ে রাজধানী অবরোধ করলে রাজা মহাবল তাঁর সমস্ত সৈন্য নিয়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলেন । কিন্তু ভাগ্য প্রসন্ন না থাকায় ক্রমে সমস্ত সৈন্য বিনষ্ট হলো। তখন নিরুপায় হয়ে মহাবল প্রাণ বাঁচাতে স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে গভীর বনে ঢুকলেন ।
     অনেক পথ হাঁটায় তিনজনই ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়লেন। তখন রাজা স্ত্রী ও কন্যাকে একটি গাছের তলায় বসিয়ে খাদ্যের সন্ধানে বের হলেন । এদিকে দিনের আলো নিভে গিয়ে অন্ধকার নেমে এল বনে । কিন্তু মহাবল আর ফিরলেন না। মা ও মেয়ে গুড়িসুবি মেরে কোনরকমে গাছতলায় বসে রইল।
     ঐদিনই কুন্ডিনের রাজা চন্দ্রসেন তাঁর বড় ছেলেকে নিয়ে মৃগয়া করতে ঐ বনে ঢুকেছিলেন। তাঁরা ঐ গভীর বনের মধ্যে মানুষের পায়ের চিহ্ন দেখে খুবই বিস্মিত হলেন । এবং আরও বিস্মিত হলেন এই দেখে যে ঐ পায়ের চিহ্ন স্ত্রীলোকের ।
     পিতা-পুত্র দু’জনে খুঁজতে খুঁজতে সন্ধ্যার মুখে দেখলেন দুটি পরমাসুন্দরী নারী গাছের নীচে বসে একে অপরের দিকে চেয়ে কাঁদছে।
এই অবস্থা দেখে তাদেরও খুব দুঃখ হলো । তাঁরা অনেক করে তাঁদের বুঝিয়ে শান্ত করলেন এবং সসম্মানে তাঁদের রাজধানীতে নিয়ে গেলেন। 
     কিছুদিন পর রাজা চন্দ্রসেন ৰিয়ে করলেন সেই রাজকন্যাকে আর রাজপুত্র বিয়ে করলেন রাণীকে। 
    গল্প এখানেই শেষ করে বেতাল বললো, বল রাজা, এদের যখন ছেলেপূলে হবে তখন তাদের মধ্যে কি সম্বন্ধ হবে বেতালের প্রশ্ন শুনে বিক্রমাদিত্য অনেক ভাবলেন কিন্তু ঠিক উত্তরটা এল না তাঁর মনে, তাই তিনি নীরবেই পথ চলতে লাগলেন। 
     যেমন কথা হয়েছিল, তাতে উত্তর দিতে না পারলে রাজার বুক ফেটে মরে যাওয়া উচিত। কিন্তু বিক্রমাদিত্যের বুদ্ধি, সাহস আর ধৈর্য্য দেখে বেতাল খুব খুশি হয়েছিল। সে কোন ক্ষতি না করে বললো, রাজা, এবার আমি যা বলি তা মন দিয়ে শোন। আমার কথামত কাজ করলে তোমার উপকার হবে।

0 coment�rios: