হেকিমখানায় এক রুগ্ন বন্ধুকে দেখতে গেলেন নাসিরউদ্দিন। বন্ধুটির পেটের ব্যথা দেখে হেকিম বললেন –‘হু, নিশ্চয়ই আপনি কাঁচা কুল খেয়েছেন। ও অভ্যাস আপনাকে ছাড়তেই হবে।’
রোগী বন্ধুটি স্বীকার করতে বাধ্য হোল, সত্যিই সে কয়েকটা টোপাকুল খেয়েছিল।
হেকিমের এহেন গুণপন দেখে মোল্লা তো অবাক! অনুনয়-বিনয় করে ডাক্তারকে বলেন, ‘হুজুর, আমাকে রোগ নির্ণয়ের এই আজব বিদ্যেটা একটু শিখিয়ে দিন।
অনেক তোষামোদের পর হেকিম বললেন, ‘ব্যাপারটা কিছুই নয়। এই দেখুন, খাটের নীচে অজস্র টোপাকুলের বীচি। তা দেখেই আমি বুঝে ফেলেছি, রোগীর পেটের ব্যথা—ঐ কুল খাবার জন্যই।’
এর কিছুদিন পর মোল্লা শুনতে পেলেন, তার আর এক বন্ধুর পেটের ব্যথা হয়েছে। শোনামাত্রই তিনি বন্ধুর বাড়ীর লোকজনকে বললেন—হেকিম কোবরেজ কাউকেই ডাকতে হবে না, তিনিই রোগ সারিয়ে দেবেন।
বন্ধুটির বাড়ী যেতেই সবাই আপ্যায়ণ করে মোল্লাকে নিয়ে গেল। মোল্লা নাসিরউদ্দিন সর্বাগ্রে খাটের তলাটা দেখে নিলেন। বললেন তার বন্ধুপত্নীকে,—“দেখুন, আপনার স্বামীকে অতঃপর জুতো খাবার অভ্যাসটা ত্যাগ করতে বলুন, তাহলে আর পেটের ব্যথা হবে না।’
—খাটের নীচে ছ'পাটি জুতো দেখেছিলেন নাসিরউদ্দিন।
0 coment�rios: