পরদিন অন্য একটি পুতুল বললো, মহারাজ, আমার নাম চন্দ্ররেখা, আগে আমার এই গল্পটি শুনুন।
রাজা বিক্রমাদিত্য সভায় বসে আছেন। তাঁকে ঘিরে বসে আছেন রাজকুমারেরা। এমন সময় এক স্তুতিকার এসে বললো, হে রাজন, যতদিন পবিত্র গঙ্গা নদী প্রবাহিত থাকবেন, যতদিন আকাশে সূর্যদেব পৃথিবীকে তাপ ও আলো দিয়ে যাবেন, ততদিন পুত্র পৌত্রাদিসহ সুখে রাজত্ব করুন। আমি দূরদেশে বাস করি, আপনার অনেক খ্যাতির কথা শুনে এখানে এসেছি। আপনাকে পেয়ে আজ আমার দারিদ্র্যদশা ঘুচবে। আপনাকে দেখে জম্বরী নগরের রাজা ধনেশ্বরের কথা মনে পড়ছে। তিনি দরিদ্রদের দুঃখ দূর করার জন্য প্রার্থীদের অকাতরে ধন দান করতেন। তিনি একবার বসন্তপুজার আয়োজন করলে অসংখ্য প্রার্থী এসে উপস্থিত হয়েছিল। রাজা সেই প্রার্থীদের আঠারো কোটি সুবর্ণ মুদ্রা দান করেছিলেন। উদারতার দিক থেকে শ্রেষ্ঠ সেই রাজার পর আপনাকেই প্রথম দেখলাম ।
তার সব কথা শোনার পর রাজা তাঁর কোষাধ্যক্ষকে ডেকে আদেশ দিলেন, একে কোযাগারে নিয়ে যাও, এ যত রত্ন এবং মুদ্র চাইবে, দিয়ে দাও।
কোযাধ্যক্ষ তাকে তার ইচ্ছামত রত্নাদি দিলে স্তুতিকার ব্রাহ্মণ রাজাকে ‘ব্রহ্মার মত চিরজীবী হোন’ বলে আশীর্বাদ করে চলে গেল।
গল্প শেষ করে পুতুল বললো, মহারাজ, আপনি কি এমন দান করতে পারবেন?
ভোজরাজ নিরুত্তর রইলেন।
0 coment�rios: