মোল্লার মাথায় যখন তখন অনেক উদ্ভট চিন্তা আসতো। একদিন এক কারখানার কাছ দিয়ে আসতে আসতে ভাবলেন কবরের ভেতরের খবরটা জানলে কেমন হয়? যেই চিন্তা হওয়া, আমি এক পুরোনো কবরের ভেতর ঢুকে শুয়ে পড়েন।
একটু পরে কবরের দেয়ালের ওধার থেকে কেমন যেন আওয়জ আসতে থাকে। মোল্লা ভাবলেন,—হয়তো বুঝি “মনকির নকির ফেরেস্তা আসছেন তার জীবনের পাপ-পুণ্যের হিসেব নিতে। —এই চিন্ত আসমাত্রই মোল্লা দেয়ালের ও-পাশে লুকিয়ে পড়েন।
আসলে, তখন ওধার থেকে যাচ্ছিল কয়েকটা উটের সওয়ার উটের পিঠে নানা রকম চুড়ি আর কাঁচের জিনিষ নিয়ে সওদাগরী করতে চলেছে। —কৌতুহলী মোল্লা কবরের ওধার থেকে তাদের সামনে লাফিয়ে পড়ামাত্র উটগুলো ভয় পেয়ে এদিক-ওদিক ছোটার ফলে কাঁচের জিনিষপত্র ভেঙ্গে একাকার !
ওদিকে মোল্রার এহেন কাণ্ড-কারখানা দেখে ওরা তাঁকে ক’ঘা লাগিয়ে দিলে রাগের মাথায়।
বহু কষ্টে, খোড়াতে খোড়াতে মোল্লা অনেক রাতে বাড়ী ফিরে এলেন। এ হেন অবস্থা দেখে মোল্লার বিবি কারণ জিগ্যেস করেন। মোল্লা বলেন—‘কিছু না, আমি গিয়েছিলাম কবরে বাস করার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে।’
‘তা অভিজ্ঞতাটা হোল কেমন?
'গিন্নী, সে কথা বলো না আর। কবর-ধামের সবকিছুই ভালো, যদি উটের কোনো ব্যাপার-স্যাপার না থাকে।’ —মোল্লার কাতরস্বরে জবাব ।
0 coment�rios: