মোল্লা নাসিরউদ্দিন লেখাপড়ায় খুব বেশী না এগুলেও বুদ্ধি দিয়ে সব কিছু পুষিয়ে নিয়েছিলেন। তার হাতের লেখা ছিল অত্যন্ত বাজে, একমাত্র ডাক্তারখানার কর্মচারী ছাড়া কেউ বুঝতে বোধ হয় পারত না। —তারা অনেক সময় তার লেখা চিঠি কোনো ডাক্তারের কর্মচারীকে পড়াতে গেলে—বদলে পয়সা দিয়ে এক বোতল ওষুধ কিনতে বাধ্য হতো।
যাহোক, একদিন এক প্রতিবেশী এসে তার ভাইয়ের কাছে চিঠি লেখাতে এসেছে। মোল্লার চিঠি লেখা শেষ হলে পর, লোকটি মোল্লা নাসিরউদ্দিনকে চিঠির বক্তবটি পড়ে শোনাতে বলে।
মোল্লা পড়া শুরু করেন, ‘ভাইজান, তসলিম আদাব,’--ব্যস, ঐ পর্যন্ত পড়ে মোল্লা অপলকে চেয়ে থাকেন নিজের লেখা চিঠির দিকে।
‘মোল্লা ভাই,–এর পর কি আছে?—প্রতিবেশী শুধোয়।
মোল্লা আমতা-আমতা করে বলেন, ‘তসলিমের পরে লিখেছি— বুঝছি না কি লিখেছি।’
সে কি, আপনার লেখা আপনিই বুঝতে পারছেন না? তাহলে, এ চিঠি পড়ে বুঝবে কে? খেদি লেখকই যখন বুঝতে পারছেন না?
—মোল্লাও চটে গেছেন। বলেন,—‘সে কি হে? দুটো কাজ, অর্থাৎ চিঠিটা লেখা আর তার অর্থ বোঝানো দু’কাজই আমাকে করতে হবে? শোনো ভাই, যে এ চিঠি পাবে, পড়বার ভার তারই। তাই না?’
‘ত। অবশ্য ঠিক কথা।’
‘তবে? মোল্লা নাসিরউদ্দিন লোকটির পিঠ চাপড়ে তাকে খুশী করতে চান।
Search This Blog
মোল্লা নাসিরউদ্দিন লেখাপড়ায় খুব বেশী না এগুলেও বুদ্ধি দিয়ে সব কিছু পুষিয়ে নিয়েছিলেন। তার হাতের লেখা ছিল অত্যন্ত বাজে, একমাত্র ডাক...
About author: Sisir Suvro
Cress arugula peanut tigernut wattle seed kombu parsnip. Lotus root mung bean arugula tigernut horseradish endive yarrow gourd. Radicchio cress avocado garlic quandong collard greens.
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 coment�rios: