একদিন এক বন্ধুর বাড়ী গিয়ে নাসিরউদ্দিন দেখলেন—মালিক তার চাকরকে খুব বকছে ‘ব্যাট যখনকার যা, তা করতে পারিস না? জানিস, অফিস-কাছারী থেকে এসেই হাত-পা ধুই, গোসল-ঘরে পানি রাখতে পারিস না? —আরও জানিস, গোসলের পর এক কাপ কফি খাই—সুতরাং ঠিক পরেই কফি তৈরী করতে হবে। কফি খাবার পর পড়তে বসি, তাই পড়ার ঘরে লণ্ঠন জ্বালতে হবে। বুঝলি তো কেমন করে জিনিষগুলো পর-পর ভেবে-চিন্তে করতে হয়।”
মোল্লা নাসিরউদ্দিন বন্ধুর চাকরকে ডেকে কি একটা পরামর্শ দেন সহানুভূতি দেখিয়ে।
– এরপর একদিন সেই বন্ধুর জ্বর হয়েছে। চাকরকে হেকিম ডাকতে পাঠালেন।
এক ঘণ্টা, ছ’ঘণ্টা, বেলা পড়ে এলো, এমন সময় দেখা গেল হেকিম হাজির, তার পেছনে ওষুধ দোকানের মালিক। তারপর এসে হাজির মসজিদের ইমাম, আর তার পরেই কাফনের কাপড়ওয়ালা। সবশেষে এলো দু’জন, যাদের কাজ কবর খোঁড়া।
চাকরটি কৈফিয়ৎ স্বরূপ বলে –‘হুজুর, আপনি বলেছিলেন পরের কাজগুলো ঠিক মত সাজিয়ে রাখতে। এখন দেখুন, ঠিকমত সাজিয়ে রেখেছি কিনা’।
0 coment�rios: