মোল্লার এক বন্ধু তাকে নেমস্তন্ন করেছে। বেজায় ধনী ব্যক্তি। একটু দেরী করে এসে নাসিরউদ্দিন দেখেন—অনেক নামী-দামী লোক সেখানে হাজির।
একটু পরে বন্ধু সবাইকে নিয়ে খেতে বসলেন।
নাসিরউদ্দিনের পাশে এক ভদ্রলোক খেতে বসেছেন। ভদ্রলোকের সম্ভবতঃ অজীর্ণ রোগ ছিল, অথচ এমন সব খাবারের লোভও ছাড়তে পারছিলেন না, তাই বাড়ীর লোকদের জন্য, বিশেষ করে হয়তো গিন্নীর জন্যই বেশ কিছু খাবার জামার পকেটে ভরতে লাগলেন। পকেট ভর্তি হয়ে উপচে উঠেছে, এমন সময় খোদ মোল্লা নাসিরউদ্দিন এক পেয়ালা সরবৎ এনে ভদ্রলোকের পকেটে ঢেলে দিলেন।
এ হে হে করে ওঠেন অতিথি। এ সব কি হচ্ছে?
‘আজ্ঞে, এটা ঠাট্ট নয় ভাই সাহেব। আমি অনেকক্ষণ থেকে দেখছি, আপনার দু-দুটো পকেটের খুব খিদে পেয়েছে, আখরোট-পেস্তা-বাদামের মতো শুকনো খাবার খেয়ে নিয়েছে। তাই তেষ্টা মেটাবার জন্যই সরবত আপনার জোব্বায় ঢেলে অন্যায় কিছু কি করেছি ভাই?
0 coment�rios: