Home Top Ad

Responsive Ads Here

Search This Blog

নসিরুদিনের এক প্রতিবেশীর ছেলে অঙ্কে ছিল কাঁচা । একদিন প্রতিবেশীটি তার ছেলেকে বলে, যা না তোর চাচা সাহেবের কাছে। তিনি কত বড় পণ্ডিত, তার কত বু...

পচা অঙ্ক -- মোল্লা নাসিরউদ্দিন

নসিরুদিনের এক প্রতিবেশীর ছেলে অঙ্কে ছিল কাঁচা । একদিন প্রতিবেশীটি তার ছেলেকে বলে, যা না তোর চাচা সাহেবের কাছে। তিনি কত বড় পণ্ডিত, তার কত বুদ্ধি, বাদশার দরবারে তার ক- তো খাতির !’
ছেলেটি একদিন নাসিরউদ্দিনের কাছে অঙ্ক শিখতে এলো। ওদিকে নাসিরউদ্দিনের মাথায় কদাপি অঙ্ক ঢোকে না। তবু বাইরে বাইরে দেখাতেন যেন কত অঙ্কবিদ । ছেলেটিকে জিগ্যেস করলেন বলো, কোন অঙ্কটা মাথায় ঢুকছে না।’
'চাচাজী, অঙ্কটা এই। এক ঝুড়িতে কুড়িটা কমলালেবু ছিল। সহপাঠী পনের জন ছাত্রকে একটা করে লেবু দিতে হবে। কিন্তু খাটের নীচ থেকে লেবুর ঝুড়ি আনতে গিয়ে দেখা গেল দশটা লেবুই গেছে পঁচে। এখন কটা লেবু কম বা বেশী হবে?
ওঃ এই অঙ্ক ? খানিকক্ষণ ভেবেচিন্তে মোল্লা বলেন-হ্যারে, এ অঙ্ক তোকে কে কষতে দিয়েছে ?
‘আজ্ঞে মকতবের ওস্তাদজী ’
তাই বল! ওস্তাদজী ছাড়া এমন কোন বোকা এ ধরণের অঙ্ক কষতে দেয় ! শোন, আমরা ছোটবেলার কস্মিনকালে কমললেবুর অঙ্ক কষিনি, কষেছি আপেলের অঙ্ক। কমললেবু তো পচবেই, আপেল হলে এত তাড়াতাড়ি পচতো কি ? যেমন তোর পচা ওস্তাদজী, তেমনি পচা অঙ্ক কী দুর্গন্ধরে বাবা ?

0 coment�rios: