পাড়ার ইস্কুলে পরিতোষবাবুর নাতিকে ভর্তি করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনিকেত নামে সেই শিশুটি ভর্তির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। অসফল হয়ে অনিকেত বাড়ি ফিরে আসে।
অনিকেত পাড়ার ইস্কুলে ভর্তি হতে পারেনি বলে অনিকেতের ঠাকুরদা পরিতোষবাবু ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন। ‘ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হবে, তার আবার পরীক্ষা, তার আবার মৌখিক, পাড়ার মধ্যে ইস্কুল, আমরাই দেখেশুনে রাখি। আর সেই ইস্কুলই আমার নাতিকে নেবে না।’... এইরকম মনোভাব পরিতোষবাবুর।
তিনি শ্রীমান অনিকেতকে নিয়ে ইস্কুলে উপস্থিত হলেন। সোজা বড়দিদিমণির ঘরে।
পরিতোষবাবু প্রশ্ন করলেন, ‘আমার নাতি শ্রীমান অনিকেত কীসে অযোগ্য বলে প্রমাণিত হল।’
বড়দিদিমণি বললেন, ‘আপনার নাতি সব বিষয়েই কাঁচা। অঙ্কে তো বিশেষ করে কাঁচা। ... আপনি নিজেই দেখুন সে কেমন যোগ্য।’
দপ্তরি দিয়ে বড়দিদিমণি অঙ্কের দিদিমণি সুরমাকে ডেকে পাঠালেন। ... বড়দিদিমণি বললেন, ‘তুমি এর ঠাকুরদার সামনে ওর একটা টেস্ট নিয়ে দেখাও তো।’
সুরমাদি বললেন, ‘আচ্ছা বাবা অনিকেত, তুমি বলো দেখি, তোমাকে যদি চারটে কলা দিই, তার মধ্যে তুমি দুটো খেয়ে ফেলো, তা হলে কটা কলা থাকবে?’
অনেক ভেবেচিন্তে অনিকেত উত্তর দিল, ‘একটা’
বড়দি পরিতোষবাবুকে বললেন, ‘দেখলেন তো!’
পরিতোষবাবু আর কী দেখবেন। তিনি ততক্ষণে পাঞ্জাবীর পকেট থেকে মানি-ব্যাগ বার করে তার থেকে এক টাকার একটা কয়েন বার করেছেন। সেই টাকাটা বড়দির হাতে গুঁজে দিয়ে বললেন, ‘মাত্র একটা কলার জন্য আমার নাতি ফেল হয়ে যাবে। এই নিন একটা কলার দাম দিয়ে দিলাম। এবার আমার নাতিকে ভর্তি করে নিন।’
[রম্যরচনা ৩৬৫ – তারাপদ রায়]
লেখাটি পাঠিয়েছেন: সুমন দাস
Search This Blog
পাড়ার ইস্কুলে পরিতোষবাবুর নাতিকে ভর্তি করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনিকেত নামে সেই শিশুটি ভর্তির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। অসফল হয়ে অ...
About author: Sisir Suvro
Cress arugula peanut tigernut wattle seed kombu parsnip. Lotus root mung bean arugula tigernut horseradish endive yarrow gourd. Radicchio cress avocado garlic quandong collard greens.
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 coment�rios: