নাসিরউদ্দিনের অনেক বন্ধুর মধ্যে বেশী সংখ্যক ছিল, চতুর আর মতলব বাজ।
তাঁর সময়ে আকাশে হালির ধূমকেতু দেখা দিল। তখন বেশ কিছু বন্ধুবান্ধব ইমাম সাহেবের নেতৃত্বে হাজির হলো মোল্লার বাড়ীতে।
মোল্লা ভাই, পৃথিবী ধ্বংস হতে আর বাকী নেই। সুতরাং যা কিছু ফুর্তি-ফার্তা সব করে নেয়া যাক, কি বলো?’
বেশ ক’দিন ধরে খাওয়া-দাওয়া চলতে লাগলো। এদিকে মোল্লার পকেট ক্রমে খালি হয়ে এসেছে।
শেষে কিছু না পেয়ে ইমাম সাহেবের দলবল বললে, মোল্লা সাহেব, আজ তো আর কিছু দেখছি না, তোমার ঐ পেয়ারের ভেড়াটাকেই জবাই করা হোক৷”
প্রিয় ভেড়াটা জবাই হতে মোল্লার প্রাণে বড় দুঃখ হলো।
এদিকে সেদিন রোদের তেজ বেশ বেড়েছে। তাই বন্ধু-বান্ধবেরা সবাই দামী জামা-কাপড় ছেড়ে হাল্কা হয়ে রান্নাশালে অাড্ডা মারতে বসলো।
ওদিকে তিতিবিরক্ত নাসিরউদ্দিন বন্ধুদের সমস্ত কাপড়চোপড়ে দিব্যি আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন !
স্নান সেরে সবাই যখন জাম-কাপড় খুঁজছে, তখন হেসে মোল্লা বললেন,—‘ভাই সব, দুনিয়াটা যখন শেষই হয়ে যাচ্ছে, তখন কাপড়-চোপড়েরই বা কি দরকার?
0 coment�rios: