অনেক অনেক কাল আগে এক গায়ে থাকত একটা লোক। সে বেজায় বোকা। বোকা কিন্তু খুব ভালোমানুষ ছিল। সবার উপকার করত, তাই বোকা হলেও গায়ের মানুষজন তাকে খুব ভালোবাসত। তার একটা নাম ছিল ঠিকই, কিন্তু সে নামে তাকে কেউ ডাকত না। তাকে ডাকত বোকা ছেলে বলে। এমনি ডাকতে ডাকতে একদিন সবাই তার আসল নাম ভুলেই গেল।
এমনি করে দিন যায়। বোকা ছেলের বয়স হল তিরিশ বছর। তবু তার বিয়ে হল না। কোন মেয়ে এমন বোকাকে বিয়ে করবে? শেষে কি না খেতে পেয়ে মরবে? বোকা বলে তার অবস্থাও ছিল খুব খারাপ। একটা নোংরা ছোট্ট কুঁড়েঘরে সে একা একাই থাকত।
কোনরকমে দিন কেটে যায়। একদিন সন্ধেবেলা বোকা কুঁড়ের মধ্যে বসে রয়েছে। মনে বড় কষ্ট। এমন সময় খোলা দরজা দিয়ে একটি মেয়ে কুঁড়েঘরে ঢুকল। পরমা সুন্দরী মেয়ে। বোকা তো কোনদিন এমন সুন্দরী মেয়ে দেখেই নি। সে অবাক হয়ে চেয়ে রইল। মেয়েটি ভয়ে ভয়ে বলল, “বড় বিপদে পড়েছি, এই রাত্তিরটা আমায় এখানে থাকতে দেবে? কালই চলে যাব।
বোকা অবাক হয়ে গিয়েছে। সে খুশি মনে রাজি হয়ে গেল। তার মনে আজ খুব আনন্দ। এমন মেয়ে থাকতে চেয়েছে আর সে রাজি হবে না?
গভীর রাতে হঠাৎ মেয়েটি বলল, “কত বড় আমাদের এই দ্বীপ, তবু তোমার আপনজন কেউ নেই দেখছি। আমারও কেউ নেই। বড় একা। তুমি কি আমায় বিয়ে করবে? তোমার বউ করবে আমাকে? আর একা থাকতে হবে না?
বোকা হাসিহাসি মুখে তখনই রাজি হয়ে গেল। তার যে এমন পরমাসুন্দরী রাজকন্যার মতো বউ হবে সে ভাবতেই পারেনি। সে রাজি হবে না?
গাঁয়ের সবাই খুশি। বোকার শেষকালে বউ জুটল। এমন সুন্দরী গাঁয়ে আর ছিল না। মেয়েও খুব ভালো। হাসিখুশি, কাজেকম্মেও ভালো। সবাই ভাবল, বোকা এবার ভালোভাবে থাকতে পারবে।
সেই বউকে বোকা এমন ভালোবেসে ফেলল যে সব সময় শুধু বউয়ের চিন্তাই করে। বউ ছাড়া সে আর কিছু বোঝে না।
বোকা শক্ত ঘাসের জুতো তৈরি করছে। বাজারে বিক্রি করে টাকা আনবে। বউ একটু দূরে রান্না করছে। হাতে কাজ করছে বোকা কিন্তু একমনে চেয়ে রয়েছে বউয়ের মুখের দিকে। জুতো বড় হচ্ছে, বড় হচ্ছে— তার খেয়ালই নেই। যখন খেয়াল হল, দেখল— জুতো এত বড় হয়ে গিয়েছে যে কোন মানুষের পায়ের মাপে লাগবে না। কে কিনবে অত বড় জুতো?
বর্ষা আসছে। মাঠে মাঠে ফসল বুনতে হবে। বৃষ্টির জন্য মাথা বাঁচাতে পাতার টোকা দরকার। বোকা টোকা বানাচ্ছে, বাজারে বিক্রি করবে। হাতে কাজ করছে, কিন্তু চেয়ে রয়েছে বউয়ের মুখের দিকে। টোকা বোনায় মন নেই। টোকা বড় হচ্ছে, বড় হচ্ছে—তার খেয়ালই নেই। যখন খেয়াল হল, দেখল— টোকা এত বড় হয়েছে যে কেউ মাথায় পরতে পারবে না। এতবড় টোকা কিনবে কে?
বউ স্বামীর কাজকর্ম দেখে আর ভাবে, হায়রে বোকা স্বামী। মুখে কিছু বলে না, কিন্তু মনে মনে কষ্ট পায়।
শেষকালে বউ ভাবল—বাড়িতে বসে কাজ করে বলে অমন হয়। স্বামীকে এবার মাঠের কাজে পাঠাবে। বর্ষাকালে, ফসলের জমিতে কত বাড়তি লোক লাগে। স্বামীকে সে জমির কাজে মাঠে পাঠাল। ভাবল, এবার সব ঠিক হয়ে যাবে।
স্বামী মাঠে কাজ করছে। বেশিক্ষণ হয়নি। হঠাৎ বোকার মনে হল,—বাড়িতে বউ ঠিক আছে তো? যদি কিছু হয়? মাঠের কাজ ফেলে ছুটে এল বাড়িতে। বউকে দেখেটেখে আবার গেল মাঠে। আবার কিছুক্ষণ কাটল। আবার মন ছটফট করে উঠল। আবার ফিরে এল বাড়িতে।
এমনি করে দিনের মধ্যে বারবার সে কাজ ছেড়ে বাড়িতে ছুটে আসে। জমির মালিক রেগে যায়। কাজও তেমন হয় না। এমন লোককে কাজে রেখে লাভ কি? তবু দয়া করে কাজ থেকে ছাড়ায় না। কিন্তু যা পাবার বোকা তার চেয়ে অনেক কম পায়। বউ ভাবে, এমন করলে তো সংসার চলবে না। পেট তো চালাতে হবে, অনেক ভেবে ভেবে সে এক বুদ্ধি করল। সেই গাঁয়ে ছিল একজন শিল্পী। সে লোকের মাটির বাড়ির দেয়ালে পশুপাখি-গাছপালার ছবি আঁকত। সুন্দর ছবি। ছবি এঁকেই তার পেট চলত। বউ একদিন তাকে বাড়িতে ডেকে আনল। মিষ্টি করে বলল, “তুমি তো খুব ভালো ছবি আঁকতে পারো। শুকনো পাতায় আমার ছবি এঁকে দাও ।
শিল্পী বলল, “মানুষের ছবি কখনও অাঁকি নি। দেখি চেষ্টা করে। ভালো না হলে মন খারাপ করবো না।
সুন্দর ছবি হল। ঠিক বউয়ের চেহারার মতো। বউ খুব খুশি।
পরের দিন সকালে বউ বোকার হাতে সেই ছবি দিয়ে বলল, “এই ছবি ঠিক আমার মতো দেখতে। এই ছবি তুমি জমির পাশে তুঁতগাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখবে। কাজ করতে করতে মাঝে মাঝে দেখবে। যতবার খুশি দেখবে আর মন দিয়ে কাজ করবে। ছুটে ছুটে বাড়ি আসবে না। আমি ডালে তোমার চোখের সামনেই থাকব।
ছবিতে বউকে দেখে। খুব খুশি সে। কাজও ভালো হচ্ছে। সন্ধেবেলা ছবি খুলে বাড়িতে নিয়ে আসে। বউ নিশ্চিন্ত হল। সংসার ভালোই চলছে।
এখন হয়েছে কি, একদিন ভর দুপুরে হঠাৎ ঝোড়ো হাওয়া উঠল। ছবি পতপত করে ডালের এপাশ-ওপাশ দুলছে। হঠাৎ ডাল থেকে খুলে পড়ল ছবি, হাওয়ার মুখে কোথায় উড়ে গেল সেই ছবি। কিছুটা দৌড়ে গেল বোকা, কিন্তু ছবি অনেক আগেই তার হাতের নাগালের বাইরে চলে গেল। জলভরা চোখে বোকা বাড়ি ফিরে এল।
বাড়িতে ঢুকেই সে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলল। বউ তাকে শান্ত করে বুঝিয়ে বলল, ‘ঠিক আছে, আমি আর একটা ছবি আঁকিয়ে নেব। ভাবনার কি আছে?
এদিকে হয়েছে কি হাওয়ার বেগে বউয়ের ছবি এদিকে-ওদিকে উড়তে উড়তে শেষকালে গিয়ে পড়ল এক বাগানে। বাগানটা ছিল ওই এলাকার সর্দারের। সর্দার বাগানে কাজ করছে, হঠাৎ ছবিটা দেখতে পেল। ছবি দেখেই সর্দার ঠিক করল,— এই মেয়েকে বিয়ে করতে হবে। যার ছবি এত সুন্দর, সে নিশ্চয়ই আরও সুন্দরী।
সঙ্গে সঙ্গে সে তার অনুচরকে ডাকল। বলল, “এই মেয়ে কোথায় আছে খুঁজে দেখো। দেখতে পেলেই নিয়ে আসবে। এ আমার বউ হবে। সঙ্গে অস্ত্র নিয়ে যাও। পিঠে-কোমরে অস্ত্র ঝুলিয়ে অনুচর রওনা দিল। পোশাকের মধ্যে বউয়ের ছবি। গ্রাম থেকে গ্রাম ঘুরে ঘুরে মেয়ের খোঁজ নিতে লাগল। যে গ্রামে যায় সেখানকার লোককে ছবি দেখিয়ে বলে, “এই মেয়ে কি তোমাদের গাঁয়ের? না, তারা এরকম মেয়েকে চেনে না। অনুচর আবার যায় অন্য গাঁয়ে।
শেষকালে অনুচর পৌঁছল বোকার গায়ে। ছবি দেখিয়ে সে একজনকে বলল, “এই গাঁয়ের মানুষ বলল, ‘হ্যাঁ, এই মেয়ে আমাদের গায়ের। বোকার বউ। ওই যে তার বাড়ি।
অনুচর বোকার বাড়ি গিয়ে দেখে হ্যাঁ ছবির মেয়ে এই মেয়েই বটে। সে তখন বলল, “আমাদের সর্দার তোমাকে বিয়ে করতে চায়। এক্ষুনি আমার সঙ্গে যেতে হবে । না গেলে...
বোকা অনুচরের পায়ের ওপরে কেঁদে পড়ল, “আমার আর কেউ নেই, তুমি ওকে নিয়ে যেয়ো না। দয়া করো।”
কে শোনে কার কথা। কার কান্না কে বোঝে। বোকার দুচোখ বেয়ে জলের ধারা নেমেছে, বউয়ের দুচোখে ঝরনা। বউ স্বামীকে ঘরের মধ্যে ডেকে নিয়ে বলল, “সর্দার যখন বলেছে, ওগো, কেঁদেকেটে কোন লাভ নেই। আমাকে নিয়ে যাবেই। ওরা এরকমই। শোনো, বছরের শেষ দিনে অনেক দেবদারু পাতা মাথায় নিয়ে তুমি সর্দারের প্রাসাদে বিক্রি করতে যাবে। নতুন বছরে পরবের সময় সাজাবার জন্যই সবাই দেবদারু পাতা কেনে। তুমি যাবে তখন, আমরা আবার একসঙ্গে থাকতে পারব। তুমি ভুলে যেয়ো না।
অনুচর চিৎকার করে ডাকছে, দেরি হয়ে যাচ্ছে। বউ বেরিয়ে এল, পেছনে বোকা। অনেক গ্রামবাসীর চোখের সামনে সর্দারের অনুচর বউকে নিয়ে চলে গেল। সবাই চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল। বোকা হাউ হাউ করে কাঁদছে, অন্যদের চোখেও জল। বউ বাঁকের পথে মিলিয়ে গেল। বোকা আছড়ে পড়ল মাটিতে।
বছর ঘুরে গেল। আজ এ বছরের শেষ দিন। বোকা গাছে গাছে উঠে সুন্দর কচি কচি দেবদারু পাতা পাড়ল। একসঙ্গে বেঁধে মাথায় তুলে রওনা দিল। হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছল সেই সর্দারের প্রাসাদের সামনে।
প্রাসাদের মধ্যে বউ তখন বসে রয়েছে সর্দারের পাশে। সর্দার মদ খাচ্ছে, বউ দেখছে। হঠাৎ বাইরে থেকে শোনা গেল, ‘দেবদারু পাতা নেবে? কাল নতুন বছরের পরব। কচি দেবদারু পাতা। দরজা সাজাবে, বাড়ি সাজাবে। দেবদারু পাতা নেবে?
বৌ হেসে উঠল। অপরূপ মিষ্টি হাসি। সকালের শিশিরের মতো মুক্তো ঝরানো হাসি। সাদা ফসলের মতো হাসি। সর্দার মদ খাওয়া থামিয়ে অবাক হয়ে চেয়ে রইল বৌয়ের দিকে। আজ এক বছর হল বৌ এসেছে এ বাড়িতে। একদিনও হাসে নি, একদিনও হাসিমুখে কথা বলেনি। আর আজ? সর্দার তক্ষুণি অনুচরকে আদেশ দিলেন,“নিয়ে এসো ওকে। ওর সব পাতা কিনে নেব।’
মাথার বোঝা চাপিয়ে বোকা ঢুকল প্রা সাদে। তাকে দেখে বৌ হেসে গড়িয়ে পড়ল মাটিতে। কি সুন্দর হাসি। বৌকে বড় সুন্দর লাগছে আজ।
সর্দানেন আনন্দ দেখে কে? আনন্দে গলে গিয়ে সর্দার বলল,‘বৌ, দেবদারুর পাতা বিক্রয়ওয়ালাকে দেখে তোমার এত হাসি, তাহলে আমিও ঐরকম বিক্রয়ওয়ালা হতে রাজি আছি। তাহলে তোমার আরও আনন্দ হবে, আরও হাসি ঝরবে। তাই না?’
বৌ কিন্তু কিছুই বলছে না। আর মিষ্টি করে হাসছে। আরও সুন্দরী লাগছে তাকে।
সর্দার তখন আনন্দে নাচছে। হঠাৎ সে বোকার মাথা থেকে বোঝা নামিয়ে ফেলল। নিজের ঝলমলে পোশাক বোকাকে পরিয়ে দিল। বোকার ছেঁড়া নোংরা পোশাক নিজে পরে নিল। বৌ আরও হাসছে। সর্দার আরও খুশি। সর্দার দেবদারু পাতার বোঝা মাথায় তুলে নিল। নাচতে নাচতে দরজার দিকে যেতে যেতে বলল,‘চাই দেবদারু পাতা! কালকে নতুন বছরের পরব।’
এই না দেখে বৌ আরও জোরে হেসে উঠল। আগের চেয়ে অনেক বেশি হাসে। হাসির শব্দে আরও খুশি হয়ে সর্দার দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেল। বাগান পেরিয়ে পথে নামল। পথে চলতে চলতে সে হেঁকে চলেছে,‘চাই দেবদারু পাতা, কচি কচি পাতা। কালকে নতুন বছরের...।’
শব্দ দূরে মিলিয়ে যাচ্ছে। বৌ হাসি থামিয়ে দিল। গম্ভীর হয়ে অনুচরকে আদেশ দিল,‘বাইরের দরজা বন্ধ করে দাও। খুলবে না, কাউকে ঢুকতে দেবে না। আমার আদেশ।’
কাঠের বিশাল দরজা ভেতর থেকে বন্ধ হয়ে গেল। একটু পরেই ফিরে এল সর্দার। দরজা বন্ধ দেখে অবাক হল। বারবার ধাক্কা মারল। দরজা খুলল না, ভেতর থেকে কোন সাড়া পাওয়া গেল না। চিৎকার করে বলতে লাগল,‘প্রাসাদের সর্দার বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। আমি সর্দার। দরজা খোল।’ কোন সাড়াশব্দ নেই। দরজা বন্ধই রইল।
প্রাসাদের মধ্যে বোকা আর তার পরমা সুন্দরী বৌ সুখে শান্তিতে বাস করতে লাগল। কত চাকর বাকর, কত অনুচর, কত ধনদৌলত। কোন অভাব নেই।
বৌ হেসে উঠল। অপরূপ মিষ্টি হাসি। সকালের শিশিরের মতো মুক্তো ঝরানো হাসি। সাদা ফসলের মতো হাসি। সর্দার মদ খাওয়া থামিয়ে অবাক হয়ে চেয়ে রইল বৌয়ের দিকে। আজ এক বছর হল বৌ এসেছে এ বাড়িতে। একদিনও হাসে নি, একদিনও হাসিমুখে কথা বলেনি। আর আজ? সর্দার তক্ষুণি অনুচরকে আদেশ দিলেন,“নিয়ে এসো ওকে। ওর সব পাতা কিনে নেব।’
মাথার বোঝা চাপিয়ে বোকা ঢুকল প্রা সাদে। তাকে দেখে বৌ হেসে গড়িয়ে পড়ল মাটিতে। কি সুন্দর হাসি। বৌকে বড় সুন্দর লাগছে আজ।
সর্দানেন আনন্দ দেখে কে? আনন্দে গলে গিয়ে সর্দার বলল,‘বৌ, দেবদারুর পাতা বিক্রয়ওয়ালাকে দেখে তোমার এত হাসি, তাহলে আমিও ঐরকম বিক্রয়ওয়ালা হতে রাজি আছি। তাহলে তোমার আরও আনন্দ হবে, আরও হাসি ঝরবে। তাই না?’
বৌ কিন্তু কিছুই বলছে না। আর মিষ্টি করে হাসছে। আরও সুন্দরী লাগছে তাকে।
সর্দার তখন আনন্দে নাচছে। হঠাৎ সে বোকার মাথা থেকে বোঝা নামিয়ে ফেলল। নিজের ঝলমলে পোশাক বোকাকে পরিয়ে দিল। বোকার ছেঁড়া নোংরা পোশাক নিজে পরে নিল। বৌ আরও হাসছে। সর্দার আরও খুশি। সর্দার দেবদারু পাতার বোঝা মাথায় তুলে নিল। নাচতে নাচতে দরজার দিকে যেতে যেতে বলল,‘চাই দেবদারু পাতা! কালকে নতুন বছরের পরব।’
এই না দেখে বৌ আরও জোরে হেসে উঠল। আগের চেয়ে অনেক বেশি হাসে। হাসির শব্দে আরও খুশি হয়ে সর্দার দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেল। বাগান পেরিয়ে পথে নামল। পথে চলতে চলতে সে হেঁকে চলেছে,‘চাই দেবদারু পাতা, কচি কচি পাতা। কালকে নতুন বছরের...।’
শব্দ দূরে মিলিয়ে যাচ্ছে। বৌ হাসি থামিয়ে দিল। গম্ভীর হয়ে অনুচরকে আদেশ দিল,‘বাইরের দরজা বন্ধ করে দাও। খুলবে না, কাউকে ঢুকতে দেবে না। আমার আদেশ।’
কাঠের বিশাল দরজা ভেতর থেকে বন্ধ হয়ে গেল। একটু পরেই ফিরে এল সর্দার। দরজা বন্ধ দেখে অবাক হল। বারবার ধাক্কা মারল। দরজা খুলল না, ভেতর থেকে কোন সাড়া পাওয়া গেল না। চিৎকার করে বলতে লাগল,‘প্রাসাদের সর্দার বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। আমি সর্দার। দরজা খোল।’ কোন সাড়াশব্দ নেই। দরজা বন্ধই রইল।
প্রাসাদের মধ্যে বোকা আর তার পরমা সুন্দরী বৌ সুখে শান্তিতে বাস করতে লাগল। কত চাকর বাকর, কত অনুচর, কত ধনদৌলত। কোন অভাব নেই।
গল্পটি পড়া শেষ! গল্পটি কি সংগ্রহ করে রাখতে চাও? তাহলে নিচের লিঙ্ক থেকে তোমার পছন্দের গল্পটি ডাউনলোড করো আর যখন খুশি তখন পড়ো; মোবাইল, কস্পিউটারে কিংবা ট্যাবলেটে।
0 coment�rios: