Home Top Ad

Responsive Ads Here

Search This Blog

      হাবুলমামার আসন্ন জন্মদিন উপলক্ষে সুখীখালা একটা পোট্রেট উপহার দিলেন। মামার নিজেরই পোট্রেট। কাঁচে মোড়া বিরাট সুদৃশ্য ছবি। শিল্পীর তুলিল ...

জন্মদিনের উপহার - আল ফারুক

      হাবুলমামার আসন্ন জন্মদিন উপলক্ষে সুখীখালা একটা পোট্রেট উপহার দিলেন। মামার নিজেরই পোট্রেট। কাঁচে মোড়া বিরাট সুদৃশ্য ছবি। শিল্পীর তুলিল টানে হাবুলমামা যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছেন। নাক-চোখ-মুখ-ভ্রু এমন নিখুঁত হয়েছে যে কি বলবো। এমনকি ঠোঁটের ডগায় যে হাসির রেশটি লেগে রয়েছে তাও নিখুঁত।
      গেলবার হাবুলমামার জন্মদিনে সুখীখালা তাঁর নিজের ক্যামেরা দিয়ে নিজেই হাবুলমামার একটা ফটো তুলেছিলেন। মামার ঠোঁটে হাসির রেশ ফুটিয়ে ছবি তুলতে তাকে অনেক কসরত করতে হয়েছে। কতবার ক্লীক করেছেন ক্যামেরা। কিন্তু পছন্দ হয়নি পরমুহূর্তে। আবার পোজ বদল করেছেন। আবার ছবি নিয়েছেন। এমনি অনেকবার চেষ্টার পর শেষকালে এই হাসি হাসি মুখের ফটাে। সেই ফটাে থেকে বিরাট আকারের তৈলচিত্র করিয়েছেন নামজাদা শিল্পীকে দিয়ে।
এ বছর জন্মদিনের ঠিক আগের দিন সুখীখালা নিজেই ছবিটা বয়ে নিয়ে এলেন। সারা বাড়িতে তখন জন্মদিনের জোর প্রস্তুতি চলছে। ঘরদোর সাজানো, মালা, ফুল, খাবার-দাবারের আয়োজন ইত্যাদি নিয়ে আমরা ভীষণ ব্যস্ত। ছোটাছুটি আর হাঁকডাকে বাড়ি সরগরম। মামার নাম খোদাই করা বার্থ-ডে-কেক আর রঙিন মোমবাতি তখনো এসে পৌঁছেনি বলে আমরা কিছুটা উদ্বিগ্ন।
      এমন সময় সুখীখালা থপথপ করে সিঁড়ি ভেঙে দোতলায় উঠে এলেন। মোটাসোটা আয়েসী শরীর। সোফায় বসে পড়ে হাঁপাতে লাগলেন। তারপর একটু জিরিয়ে নিয়ে বললেন—তোর জন্মদিনে তো উপস্থিত থাকতে পারবো না। তাই আজই এলাম দেখা করতে।
      কেন আপা? হাবুলমামার জিজ্ঞাসা। 
      কাল সকালের ফ্লাইটে চট্টগ্রাম যাচ্ছি জরুরী কাজে। তাই আজই এলাম।
     একটু থেমে তারপর বললেন—তা দেখ হাবুল, তোর সেই ফটাে থেকে আঁকা পোর্ট্রেট। তোর এবারের জন্মদিনের উপহার। আমি তো নিজে জন্মদিনে উপস্থিত থাকতে পারবো না, তাই আমার ইচ্ছে, তোর জন্মদিনে ছবিটা দেয়ালে শোভা পাক। ছবিটাই আমার উপস্থিতি।
      হাবুলমামা লাজুক মুখে বললেন—এসব আবার কেন আপা। তোমার বুক ভরা আশীৰ্বাদই তো আমার জন্যে যথেষ্ট।
      সুখীখালা রা-রা করে উঠলেন।—বলিস কিরে হাবুল। দশটা না পাঁচটা না—একটা মাত্র ভাই তুই। তোর জন্মদিনে জাঁক হবে না! আশীর্বাদের সাথে দক্ষিণা না থাকলে জমবে কেন। না-না হাবুল, তোর জন্মদিনে ছবিটা যেন অবশ্যই দেয়ালে টাঙ্গানো হয়। বোনের ইচ্ছেটা রাখবিনে হাবুল?
      সুখীখালার গলাটা সত্যি করুণ হয়ে উঠলো। একটু থেমে তারপর বললেন—ভাবিসনি, তোর ছবি টাঙ্গতে অসুবিধে হবে বলে সাথে করে একটা মইও নিয়ে এসেছি। মইটাও তোকে প্রেজেন্ট করলাম।
      তাকিয়ে দেখলাম, সত্যি চাকরের মাথায় একটা নতুন মই। মইটা ধরাধরি করে দোতলায় তোলা হচ্ছে।
     কাঁচে মোড়া হাবুলমামার ঢাউস অয়েলপেন্টিং আর মইটা রেখে অনেকক্ষণ গল্পগুজব করে সুখীখালা উঠে পড়লেন। যাবার সময় দেউড়ীর দোরগোড়ায় এসেও পই পই করে ছবিটা দেয়ালে টাঙ্গতে অনুরোধ করে গেলেন।
      সুখীখালা চলে গেলে আমরা সোফায় গোল হয়ে বসলাম। সুখীখালা বেতো মানুষ। তার ওপর গ্যাষ্ট্রিকের রোগী। বেশি খেতে পারেন না। তার জন্যে আনা অবশিষ্ট খাবারগুলো আমরা পেটে চালান দিতে লাগলাম। খেতে খেতে হাবুলমামার জন্মদিন প্রসঙ্গে আলোচনা চলতে লাগলো।
      সাবীল বললো—এবারের জন্মদিনের বিশেষত্ব হলো হাবুলমামার তৈলচিত্র। 
      শহীদ বললো—হাকুলমামাকে আমরা এবার ডবল-রূপে দেখতে পাবো। 
     মামী রসিকতা করে বললেন—অর্থাৎ ডবল ডেকার। 
     মামা ফোঁস করে উঠলেন। বললেন—তোর মামীর খোঁচাটা শুনলি। দিন দিন শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছি অথচ তোর মামী কিনা—কথাটা অসমাপ্ত রেখে হাবুলমামা মুখে ডালমুট পুরে নিলেন।
      আমি সাত্ত্বনা দিয়ে বললাম—না মামা, মামী ঠিক সে অর্থে বলেননি। ডবল ডেকার দোতলা বাস তো—দুটো গাড়ীই বলতে পারো। তোমাকে এবার দ্বৈত-রূপে দেখবো তো—মামী সেদিকটাই ইঙ্গিত করেছেন।
      হাত ঝেড়ে হাবুলমামা বললেন—উঃ, ডালমুট ঝাল কিরে বাবা! তারপর বললেন—যাকগে, গুল্লী মারো ডবল ডেকারে। পোর্ট্রেটার কি করা যায় তাই বলো। আপা বারবার করে বলে গেলেন।
      সুযোগ বুঝে বললাম—সে কথাই তো বলছি মামা। পোর্ট্রেটটা টাঙ্গালেই তো তোমার ডুয়েল-রূপ ফুটে উঠবে।
      ডুয়েল! হাবুলমামা ট্যারা চোখে তাকালেন। বললেন—ডুয়েল কি বলছিস? ফাইট-টাইটের কথা বলছিস না তো? ও সবের মধ্যে আমি নেই।
     আরে ছো! ফাইট হতে যাবে কেন? ভদ্রলোকেরা ডুয়েল-ফাইট করে কখনো? আমি বলছি, তোমার দুই মূর্তির কথা। একদিকে ছবির মধ্যে স্বপ্নের জগতের তুমি, অন্যদিকে মালা-চন্দনে সজ্জিত বাস্তব তুমি— দু’য়ে মিলে কী যে দেখাবে না তোমাকে—উহঃ!
      সান্টু আবেগে গান গেয়ে উঠলো—তুমি কি কেবলই ছবি—পটে আঁকা—
      হাবুলমামা হাসি মুখে ধমকে উঠলেন। বললেন—হয়েছে, হয়েছে। এবার তুড়ি মেরে লেগে পড়ো ছবি টাঙ্গাতে।
      কিন্তু লেগে পড়তে গিয়েই যে শেষকালে এমন দুর্ঘটনায় ঘটবে, হাবুলমামা, বেকায়দায় পড়বেন আর মামী গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ছুটবেন এবং হয়রানি হতে হবে তা কে জানতো।
      ছবি টাঙ্গাতে হলে প্রথমে স্থান নির্বাচন করতে হয়। কিন্তু এই স্থান নির্বাচন নিয়ে সমস্যা দেখা দিল। হাবুলমামা সারা ড্রইং রুমটা আমাদের নিয়ে ঘুরে ফিরে দেখলেন। কোথায় বসবেন ছবিটা। কোনো জায়গায়ই তার পছন্দসই হয় না। শেষকালে আমার দিকে ঘুরে বললেন—কোথায় বসাই ছবিটা বলতো রে ক্যাবলা?
      সত্যি কোথায় বসানো যায় ছবিটা। সবাই মিলে ভাবতে লাগলাম। অনেক ভেবে আমি বললাম—কোথায় বসাবে ছবি, মামা, তুমি ঠিক করো। তবে আমার মনে হচ্ছে, ছবিটা এমন জায়গায় বসাতে হবে যাতে দরজা দিয়ে ঢুকতেই তোমার হাসি-হাসি মুখটা সবার চোখে পড়ে।
      হাবুলমামা বললেন–দি আইডিয়া—বলে তিনি দরজার মুখোমুখি প্রশস্ত দেয়ালের একটা জায়গায় পেন্সিলের দাগ দিলেন। তারপর মই চাইলেন। বললেন—মই আন।
      আমরা ধরাধরি করে মইটা এনে জায়গা মত বসালাম। তিনি মই রাখার জায়গাটা দুবার পরীক্ষা করলেন। তারপর আমাদের দিকে ফিরে বললেন—কে উঠবে ছবি টাঙ্গাতে?
      আমরা জবাব দেবার আগেই তিনি বললেন—ঘুঘুর কলিজা। নাঃ, তোদের দিয়ে কিসসু হবে না। সব অকর্মার ঢেকি। আমিই উঠছি মই-এ।
      মই-এ এক পা দিতেই তার বিশাল ওজনের ভারে নতুন মইটা মচমচ’ করে উঠলো। হাবুলমামা শংকিত কন্ঠ বলেন—ভাঙ্গবে নাকি রে মই? ক্যাবলা শক্ত করে ধরিস। তারপর বললেন—(দ, হাতুড়িটা দে–
     হাতুড়ি, পেরেক, দড়ি ইত্যাদি ছবি টাঙ্গাতে যা-যা প্রয়োজন সব আগেই রেডি ছিল। মামার কথা মত হাতুড়ি দিলাম, পেরেক দিলাম।
      মামা দেয়ালে ঠুকছেন--ঠুক—ঠুক—ঠুক— কিন্তু উহু পেরেক তো ঢোকে না। যেখানেই আঘাত করেন সেখানেই সিমেন্টের আস্তরণটা পার হয়ে পেরেক যায় দুমড়ে। কী মুশকিল! মামা তার দাগ দেয়া নির্দিষ্ট স্থান থেকে এদিক ওদিক সরতে সরতে অনেক দূর চলে এলেন। কিন্তু যে-কে সেই। পেরেক পোতা যাচ্ছে না।
      মামা মই-এর ওপর থেকেই হেঁকে বলেন মই সরাতে। আমরা ঠেলে ঠেলে মই সরাই। কখনো ডানে-কখনো বামে। আর মামা সেই সময়টা হনুমানের মত মই ধরে ঝুলে থাকেন।
      এভাবে মই ঠেলে ঠেলে পেরেক ঠুকতে ঠুকতে সদ্য চুনকাম করা দেয়ালটা বিচ্ছিরি হয়ে গেল। অজস্র ক্ষতচিহ্নের মত ফুটে উঠলো। কিন্তু তবু পেরেক পোতা আর হয়ে উঠছে না। মই ঠেলে ঠেলে আমরা হয়রান হয়ে গেলাম। হাত ব্যথা করতে লাগলো। বিরক্তি ধরে গেল। আর মামা তো গলদঘর্ম।
      এক সময় ক্লান্ত হয়ে ব্যাজার মুখে হাবুলমামা বললেন—এ কেমন হলো রে ক্যাবলা? 
     আমরা আর কি বলবো। চোখের সামনেই তো দেখতে পাচ্ছি অবস্থাটা। হাবুলমামা ঠোঁট উল্টিয়ে কিছুক্ষণ ভেবে নিলেন। তারপর মাথার চাঁদিতে দুটো টোকা মেরে বললেন—হয়েছে।
      আমরা সমস্বরে বললাম—কি হয়েছে মামা? 
      হাবুলমামা বললেন—রোস, মাথায় বুদ্ধি খেলেছে। যেখানে সেখানে পেরেক পুতে লাভ নেই। এতে শুধু দেয়ালই নষ্ট হচ্ছে। তার চেয়ে কাগজ-পেন্সিল নে। মেপেজুকে দেখতে হবে দেয়ালটার লম্বা, চওড়া আর উচ্চতা। ইটের মাপ নিয়ে তা দিয়ে ভাগ করতে হবে দেয়ালের মাপকে। তাহলেই ধরা যাবে ঠিক কোনখানে কত ইঞ্চি পরে ইটের জোড় রয়েছে। সেই জোড়ের মুখে পেরেক বসাতে হবে। তাহলে আর ইটের গায়ে পেরেক আটকে যাবে না।
      কথা শেষ করে হাবুলমামা আমাদের দিকে বিজ্ঞোচিত চোখে তাকালেন। বললেন—কেমন আইডিয়াখানা বলতো?
      বললাম—দারুণ মামা। তোমার বুদ্ধির তারিফ করতে হয়। মই-এর ওপরে বসে পা দোলাতে দোলাতে হাবুলমামা বললেন—তারিফ করতেই হবে। একি আর যার তার বুদ্ধি—স্বয়ং হাবুল—
      পা দোলানিতে মইটা নড়ে উঠতেই মামার উচ্ছাসপূর্ণ কথায় বাধা পড়লো। কোঁৎ করে একটা ঢোক গিলে চেঁচিয়ে বললেন—ক্যাবলা, মই শক্ত করে ধরিস।
      তারপর শুরু হলো মাপজোক। পাশের বাড়ি থেকে ফিতে আনা হলো। ফিতের সাথে দড়ি বেঁধে সারা ঘর জুড়ে সে কি মাপামাপি! লম্বা, চওড়া, উচ্চতা। পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ-অধঃউর্ধ। মাপের আর শেষ নেই। ফিতা টানাটানি আর যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ করতে করতে আমরা রীতিমত ক্লান্ত হয়ে পড়লাম। শেষকালে এক সময় মাপামাপির শেষ হলো। হাবুলমামা মাপ মত তিনটি জায়গা বেছে নিয়ে পেন্সিল দিয়ে কুলের অাঁটির মত গোল দাগ দিলেন। তারপর খুশি-খুশি মুখে আমাদের দিকে তাকালেন। ব্যাপারটার একটা জলবৎ তরলং সমাধা মুহুর্তে হয়ে যাচ্ছে—এমনি একটা প্রশান্তভাব চোখেমুখে।
      আমি বললাম—মামা জায়গাটা দেয়ালের একটেরেয় হয়ে যাচ্ছে না? 
      হাবুলমামা বললেন–কুচ পরোয়া নেই। ছবি টাঙ্গানো নিয়ে কথা। দে—হাতুড়ি দে— পেরেক দে–
     হাবুলমামা এবার নতুন পেরেক নিলেন। হাতুড়ি বাগিয়ে ধরলেন। আমাদের মই শক্ত করে ধরতে বললেন। মই যেন না নড়ে—সাবধান করে দিলেন।
      আমরা শক্ত করে ধরেই ছিলাম। মামার কথা মত আরো জোরে মই ধরে রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করতে লাগলাম।
      হাবুলমামা মারাত্মক মুখ করে বললেন—দেখি বাছাধন, পেরেক কেমন দেয়ালে না ঢোকে। বলে মারলেন এক ঘা।      এই তো বাপের সুপুত্রের মত চলেছেন। ইস এখানে একটু আটকালো যে ! ও কিছু না। এখনই দিচ্ছি ঠিক করে। ওয়ান-টু-খ্ৰী—বলে দাঁত-মুখ খিচিয়ে মারলেন আর একটি প্রচণ্ড ঘা।
      আর সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে উঠলেন।—উঃহু-রে—গেছিরে—মরেছিরে—দুত্তোরি হাতুড়ির নিকুচি করেছে—
      মামার কি হয়েছে বুঝবার আগেই হাবুলমামা হাত চেপে ধরে হাতুড়ি ছেড়ে দিয়েছেন। আর সেই হাতুড়ি পড়বি তো পড় মামীর মাথায়। মামার হৈ-হল্লা শুনে মামী পাশের ঘর থেকে ছুটে এসেছেন আর অমনি হাতুড়ি গিয়ে পড়লো তার মাথায়।
      হাতুড়ির আঘাত খেয়ে মামী চিৎকার করে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লেন। রক্তের ফিনকিতে তার মাথা ভেসে যাচ্ছে। মামীর অবস্থা দেখে আমরা সহসা মই ছেড়ে দিয়ে তার দিকে ঝুঁকে পড়লাম। আর সাথে সাথে মই পিছলে হাবুলমামা কলাগাছের মত চিৎপাত হয়ে পড়ে গেলেন।
      হাবুলমামা যেখানে পেরেক পুতছিলেন তার পাশেই রাখা ছিল জন্মদিনের জন্যে কেনা হাড়িভর্তি দই আর মিষ্টি। হাবুলমামা মইসমেত সেই দই আর মিষ্টির হাড়ির মধ্যেই পড়লেন। মিষ্টি আর দই চেপ্টে তালগোল পাকিয়ে গেল।
      তখন একটা দৃশ্য বটে। জাতিকলে-পড়া ইঁদুরের মত হাবুলমামার দশাসই শরীরটা মই-এর ফাঁকে আটকা পড়েছে।       তিনি সেই ফাঁক দিয়ে বের হওয়ার জন্যে যতই হাত-পা ছুড়ছেন ততই দই আর মিষ্টিতে ছিটাছিটি হচ্ছে। এবং সারা গায়ে দই আর মিষ্টি লেগে কিম্ভূতকিমাকার হয়ে যাচ্ছেন।
      মামার অবস্থা দেখে আমরা গা ঝাড়া দিয়ে উঠলাম। তারপর মামার দই মাখানো বিরাট দেহটা টেনে-হেঁচড়ে অনেক কষ্টে মই-এর ফাঁক থেকে বের করলাম।
      পড়ে গিয়ে মামা কোমরে জবর আঘাত পেয়েছেন। হাতুড়ির ঘায়ে বা হাতের একটা আঙ্গুল থেতলে গেছে। তার ওপর মই-এর ফাঁক থেকে টেনে-হেঁচড়ে বের করতে গিয়ে এখানে ওখানে ছড়ে গেছে। ওদিকে মামীর মাথা রক্তে জবজবে।
      মামাকে ব্যাণ্ডেজ-ট্যাণ্ডেজ করে কোনো রকমে বিছানায় শুইয়ে দিলাম। আর মামীকে নিয়ে সোজা হাসপাতালে।

গল্পটি পড়া শেষ! গল্পটি কি সংগ্রহ করে রাখতে চাও? তাহলে নিচের লিঙ্ক থেকে তোমার পছন্দের গল্পটি ডাউনলোড করো আর যখন খুশি তখন পড়ো; মোবাইল, কস্পিউটারে কিংবা ট্যাবলেটে।

Download : PDF

1 টি মন্তব্য: