নাসিরউদ্দিনের যে গান-বাজনার শখও ছিল, তা অাগেই বলা হয়েছে।
একদিন নাসিরউদ্দিন এহেন এক বাজনাওয়ালা ওস্তাদকে খাবার নেমন্তগ্ন করলেন। গল্প-গুজবে বেশ কেটে গেল দিনটা।
ভদ্রলোক এসে খেলেন, পরদিন নাসিরউদ্দিনকেও তিনি নেমন্তন্ন করলেন পাল্টা ভদ্রতা হিসেবে।
নাসিরউদ্দিন খেতে গেছেন। ভেবেছিলেন–তাঁর বন্ধুও যথাসময়ে খেতে বসতে বলবেন। কিন্তু, হায় খোদা, ভদ্রলোক তখন থেকেই এ বাদ্যযন্ত্র, ঐ সুর, তাল-লয় সব কিছুরই বিশ্লেষণ করছেন তো করছেনই—যার অনেক কিছুই মোল্লার কাছে দুর্বোধ্য ।
এইভাবে বেল পড়ে আসে। নাসিরউদ্দিনের পেট ক্ষিদেয় জ্বলছে তখন।
তখনো বন্ধুর কেবল বাদ্যযন্ত্রেরই কথা। শেষে বলেন—“আচ্ছা ভাই, এত সব বাজনার মধ্যে কোনটার শব্দ সবচেয়ে করুণ?’
মোল্লার তাংক্ষণিক জবাব – “সবচেয়ে করুণ বাজনা বাজছে আমার পেটের ভেতর। ক্ষিদের চোটেই বাজছে ভাই!’
0 coment�rios: