খরগোশ কি জোরেই ছোটে, যেন বাতাসের আগে উড়ে চলে, আর কাছিম চলে আসতে আসতে হেলেদুলে। কাছিমের ঐ রকম হাঁটা দেখে এক খরগোশ একদিন হেসে লুটোপুটিঃ কি হাঁটাই শিখেছ, দাদা!
--এত টিটকারি কিসের, এস না পাল্লা দিই!
—পাল্লা? হাসালে, বেশ, বলো কোথায়, কতদূর যাওয়ার পাল্লা? কখন শুরু হবে?
কাছিম বললে, এখনই। ঐ যে অনেক দূরে নদীর ধারে একটা বটগাছ দেখা যাচ্ছে, এস দেখি ঐখানে কে আগে যেতে পারে!
বলার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা শুরু হয়ে গেল ; খরগোশ একটু দৌড়েই পিছনে তাকিয়ে দেখে কাছিম অনেক পিছে পড়ে আছে। ভীষণ রোদ্দুর। পাশেই গাছের নীচে একটা ঝোপ দেখে ভাবলে এই ছায়ায় কিছুটা ঘুমিয়ে নেওয়া যাক। পরে যখনই যাই ওর আগে পৌছতে পারব। এই ভেবে সে সেই গাছের ছায়ায় ঘুমিয়ে পড়ল ।
কাছিম কিন্তু রোদ্দুর টদ্দুর গ্রাহ্য না করে ধীরগতিতে একটুও না থেমে চলতে লাগল। বেলা পড়ে এলে খরগোশের ঘুম ভাঙল। সে তখন আশেপাশে তাকিয়ে কাছিমকে না দেখতে পেয়ে ছুটল নদীর তীরের সেই বট গাছের দিকে। সেখানে গিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে দেখে কাছিম তার আগেই সেখানে এসে গিয়ে জিরুচ্ছে ।উপদেশ: কাজে মন্থর হলেও যে লেগে থাকতে পারে তারই জয়।
0 coment�rios: