Home Top Ad

Responsive Ads Here

Search This Blog

বীরবল একবার আকবর বাদশার কাছ থেকে ছুটি নিয়ে দেশে গেলেন কয়েকদিনের জন্য। কারণ বীরবল অনেকদিন বাড়ি যাননি। বাদশা বীরবলকে বলেছিলেন, ‘বাড়ি যাচ্ছ...

দুই হাজার-এক পাগল

বীরবল একবার আকবর বাদশার কাছ থেকে ছুটি নিয়ে দেশে গেলেন কয়েকদিনের জন্য। কারণ বীরবল অনেকদিন বাড়ি যাননি। বাদশা বীরবলকে বলেছিলেন, ‘বাড়ি যাচ্ছ যাও, তবে আসার সময় আমার জন্য কিছু নিয়ে আসতে ভুলো না কিন্তু ? তিনি বাদশার প্রধানমন্ত্রী বলে গ্রামের দরিদ্র সহস্র ব্রাহ্মণ যুবক এসে তাকে অনুরোধ জানাল, তিনি যেন ওদের বাদশার সৈন্যবাহিনীতে চাকরি করে দেন। আমাদের যা অবস্থা যদি চাকরি না করি খেতে পাব না। একেবারেই মরে যাব।' বীরবল তাদের আশ্বাস দিয়ে সঙ্গে করে দিল্লি নিয়ে আসেন। দিল্লি আসার সময়, প্রাসাদের সামনে এসে উনি তাদের বাইরে অপেক্ষা করতে বলে একা ভেতরে প্রবেশ করলেন খালি হাতে। বাদশা তাকে দেখে খুশি হয়ে বললেন, ‘দেশ থেকে আমার জন্য কী উপহার এনেছ বীরবল ? তোমাকে তো বলেছিলাম কিছু নিয়ে আসতে। 

বীরবল বললেন, "দুই হাজার-এক পাগল এনেছি হুজুর আপনার জন্য।’ 
বাদশা বললেন, ‘সে কী? কোথায় তারা? 
বীরবল বললেন, তারা বাইরে অপেক্ষা করছে হুজুর, আমি তাদের নিয়ে আসছি আপনার কাছে।’ 

বীরবল বাইরে গিয়ে সেই দুই হাজার যুবকদের ডেকে আনলেন। 
সামনে হাজির করে বললেন, “এই দুই হাজার, আর আমি একজন, একুনে দুই হাজার-এক পাগল হল হুজুর। বাদশা বললেন, ‘একটু খুলে বলে তো ব্যাপারটা কী? আমি তোমার হেঁয়ালি বুঝতে পারছি না।’ 
বীরবল বললেন, “আমি দেশে গেলে এই দুই হাজার ব্রাহ্মণ যুবক এসে আমার কাছে প্রার্থনা জানাল, আমি যেন ওদের বাদশার সৈন্যদলে চাকরি করে দিই। ওদের ধারণা আমি ছাড়া ওদের চাকরি হবে না। ওদের অনুরোধে আমিও ওদের এতদূর নিয়ে এলাম। কিন্তু ওরা বা আমি কেউ একবার ভেবে দেখলাম না হুজুর, আমাযর কথায় জাঁহাপনা ওদের চাকরি দেবেন কিনা। সুতরাং আমরা সকলেই পাগল বইকী। এখন আমি কী করব বলুন হুজুর” ।
বাদশা হেসে বললেন, “ওদের সৈন্যদলে ভর্তি করে নাও। যখন তুমি উপহার নিন এসেছ, সেটা আমাকে গ্রহণ করতেই হবে"।

0 coment�rios: