নাসিরউদ্দিন কাজীর পদ পেয়েছেন, ঘনিষ্ট বন্ধুরা মোল্লাকে পাকড়াও করলে খাওয়াবার জন্যে।
মোল্লা তো তাদের ডেকে নিয়ে এলেন। ওদিকে গিল্পীর অনুমতি ছাড়াই এতগুলো লোককে এনে ফেলেছেন, তাই ওদের দূরে পেছনে দাঁড়াতে বলে,—বাড়ী এসে গিল্পীকে খবরটা জানালেন।
শুনে নাসির-গিন্নী তে মহাখাপ্পা ! আমি ওসব ফালতু লোককে রেঁধে খাওয়াতে পারবো না। হটাও ওদের।”
‘দেথো, ওদের অামি না বলতে পারছি না।’
ঠিক আছে, গিন্নী বলেন, ‘সে ভার আমার ওপর ছেড়ে দিয়ে তুমি চুপটি করে দরজা বন্ধ করে ঘরে বসে থাকো।’
নাসিরের বন্ধুর দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে তো করছেই। শেষে লাজ-লজ্জা ছেড়ে হাজির হোল দরজায়।
গিন্নী বলেন,—‘কর্তা বাড়ী নেই, বেরিয়ে গেছেন।’
‘বাঃ, তা কি করে হয়? ওকে আমরা কিছুক্ষণ অাগে এই দরজা দিয়ে ঢুকতে দেখেছি যে!’
গিন্নী তো হতবাক – কোনো উত্তর নেই। গিল্পীর এহেন অপ্রস্তুত ভাব থেকে উদ্ধার করেন খোদ মোল্লা নাসিরউদ্দিন। জানালা ফাঁক করে মুখ বাড়িয়ে বলেন,—‘সামনের দরজা দিয়ে মোল্লাকে ঢুকতে ঠিকই দেখেছ, কিন্তু পেছনের দরজা দিয়ে কি মোল্লা বেরিয়ে যেতে পারে না?
0 coment�rios: