আমরা, শিকারীর বংশ বুঝলি কেষ্টা! — কম্বলমামা কেষ্টার দিকে সগৌরবে তাকিয়ে বললেন। স্বীকার করতেই হলো কেষ্টাকেঃ তা তো বটেই।
বটেই মানে? — কম্বলমামা খেঁকিয়ে উঠলেন, অবিশ্বাস – আমার কথায় অবিশ্বাস? রে—রে দুরাচার, কুলের আচার, তবে এশোন – তোর মত তালিপত্র সৈনিক অর্থাং শুদ্ধ বাংলায় যাকে বলে তালপাতার সেপাই – সেম আমার কথার মর্ম বুঝবে কি? বুঝতো যদি চকা সমাদার থাকতো; তা হলে তোকে এক কথায় সমঝিয়ে দিতো বীরত্ব কাকে বলে। আমার পিসতুতো কাকী এক লাফে এক উড়ন্ত কাক ধরে তার নাকে কৌটোর খাপ পরিয়ে দিয়েছিলেন। আমার কাকা বাড়ীর ঘুমন্ত কুকুরকে মারবার জন্য তিনটে গুলি ছুড়েছিলেন, শেযে বাঁশ দিয়ে সেটাকে পিটিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হলো। আর আমার শ্যামনগরের পিসীমা? -- বলবো কি কেষ্টা, ঝাঁটা দিয়ে পিসী একটা খ্যাকশেয়ালী ঘায়েল করলেন। এখন তুই চিন্তা কর আমাদের কথা – তোকে আধ ঘন্টা সময় দিলাম।
কম্বলমামা হাতের ঘড়ির দিকে চেয়ে রইলেন।
শিকারে খুব সাহস দরকার। -- খুব গম্ভীরভাবে বললে কেষ্টা।
সাহসের কথা যদি বলিস কেষ্টা, তবে শুনে নে আমার মেজ মাসী গোষ্ঠমোহিনীর কথা। কথায় বলে — যার দাপটে বাঘে গরুতে এক ঘাটের জল খায়। গোষ্ঠমাসী তাই করাতেন। তিনি থাকতেন চুটিয়াপাড়ার গভীর জঙ্গলে।
চুটিয়াপাড়া? সেটা আবার কোথা? আফ্রিকায় বুঝি?
কোথায় তা দিয়ে তোর দরকার কী? গল্পটা হচ্ছে সাহসের, তার মধ্যে কেবল ঘ্যানঘ্যান করছে – কোথায়? কোথায় আবার, – তোর মাথায় !
কেষ্টা নিজের মাথায় একবার হাত বুলিয়ে নিয়ে বললেঃ বলো— বলো জিজ্ঞাসা করবো না।
সেখানে ছিল গভীর জঙ্গল। অসংখ্য বুনো জন্তু— এই ধর বাঘ, সিংহ, হাতী ঘোড়া, উট সব—’
অত জঙ্গলে মিছিমিছি উনি কষ্ট করে যেতে গেলেন কেন? — কেষ্টা আবার জিজ্ঞাসা করলো।
গেছে তো গেছে, বেশ করেছে। তোর তাতে কি রে? — কম্বলমামা বেশ চটে উঠলেন, গেছে আমার মাসী গেছে – তোর মাসী তো যায় নি।
সত্যিই কেষ্টার মাসী কোথাও যান নি। এমন কি গঙ্গা নাইতে কাশীতেও না! শুধু একবার গোবর আনতে আমবাগানের মাঠে গিয়ে সেই যে একটা গুতোনো গরুর ভয়ে পালিয়ে এসেছেন সেই থেকে গোবরের পবিত্র কাজ ঘুঁটিতেই সারেন ; কাজেই তার সাহসের কথা কেষ্টার আপাততঃ কিছুই মনে না পড়াতে সে চুপ করে গেল।
আমার গোষ্ঠমাসীকে একবার শুঁটকে সাহেব বলেছিলেন খুশী হয়ে — গোস্ট আনটি, তোমাকেই প্রকৃতপক্ষে বীরাঙ্গনা বলা উচিত। আমি যখন আবার চুটিয়াপাড়ায় আসবো তখন তোমাকে আমার চাই-ই। তোমার সঙ্গে আমি শিকারে যাবো।
মাসীও স্বীকার করেছিলেন । সে অনেক দিনের কথা। একদিন দুপুরবেলা মাসী লাঠি দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে ছারপোকা মারছেন, দরজায় সেই কণ্ঠস্বর শোনা গেল – গোস্ট আনটি — আমি কেটলী সাহেব।
ওমা, এস বাবা এস। — মাসী স্বাগত জানালেন।
আনটি, তৈরী হয়ে নাও। আমরা ওই বনে শিকারে যাবো, তাবু ফেলেছি। গোষ্ঠমাসী হাতের লাঠি খাটিয়ার ওপর রেখে খানিকটা গালে হাত দিয়ে ভাবলেন। তারপর বললেন – তা ভালোই। এলিনর রুজভেল্ট ছিলেন কতবড় শিকারী – আমিই বা কম কিসের? বেশ, যাবো।
সাহেব বিকেলবেলা মাসীর উঠোনে এসে চমকে গেলেন। এ কি রণসজ্জা ? পায়ে সুপুরীর ডোঙার চটি — সে আবার খুব শক্ত করে নারকেল দড়ি দিয়ে বাঁধা; পরনে গেরুয়া ধুতি, গায়ে নামাবলী। টিকিতে একটা জবাফুল বাঁধা আর হাত একগাছা মুড়ো বাটা। বা হাতখানা কোমরে রেখে মাসী তিলের নাডুর মত দুর্ভেদ্য মুখ করে দাঁড়িয়ে আছেন। তাকে প্রথম দেখেই কেটলী সাহবে আমড়ার আঁটির মত ছটকে গেলেন। কিন্তু বলতে হবে সাহেব — ওদের গোঁ-ই আলাদা। তখনি বেশ একটি ভিরমি হাসিমুখে সামলে নিয়ে কুলের আচারের মত মিষ্টি মুখ করে বললেন – বাঃ গোস্ট আনটিকে তো বেশ লাগছে। — শুঁটকো সাহেব চি-চি খক-খক হুয়া-হুয়া করে হেসে উঠলেন।
গোষ্ঠমাসী চিড়েভাজার মোয়ার মত আরো কঠিন হয়ে গিয়ে বললেন – আর হিঁ হিঁ করতে হবে না চিংড়ী অবতার, এখন চল তো দেখি।
গভীর বন ৷ শাল, তাল-তমাল, পিয়াল এসব ভালো ভালো কবিদের ভালো লাগবার মত গাছের সঙ্গে সঙ্গে পিন্ডিখেজুরের মত লেপটে রয়েঠে জিকে, আম, জাম, কাঁঠাল, বিছুটি ইত্যাদি। অরণ্যের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ পথ – পাশে পাশে গিরিমালা।
পাহাড়ও বুঝি ছিল সেখানে – কেষ্টা বিস্ময় প্রকাশ করে।
ছিল বৈ কি! গিরি ছিল, গিরিমালা ছিল, রুদ্রাক্ষের মালার মত জড়িয়ে ; তার মধ্যে ছিল প্রস্রবণ —
উঃ রে—বাবাঃ–
বাবা কিরে। এরপর যখন গল্প আরম্ভ হবে তখন বলিব ঠাকুরদাদা’! গোষ্ঠমাসী তো চলেছে। পিঠে একটা প্রকাণ্ড বস্তা।
ওটা কী গোস্ট আনটি – এটা আবার কোথা থেকে জোটালে? — সাহেব বললে।
চুপ কর তো বাছা! সব কথা কী তোমার ওই বাদুড়-চোষা শুটকো মগজে ঢোকে? শুধু দেখ কী করে গণ্ডার শিকার করতে হয়। দেখে তাজ্জব হবি। তোর ও কচুগাছের মত বন্দুকের কাজ নয়, এ বুদ্ধির দরকার! — বলেই গোষ্ঠমাসী টিকিসুদ্ধ জবাফুলটাকে পটাস করে দুলিয়ে দিলেন আর ওটা সশব্দে কপালে এসে লাগলো। সাহেপ উচ্চিংড়ের মত লাফিয়ে সরে গেলেন।
সন্ধ্যেবেলার ওরা ক্যাম্পে এসে খানিকটা বিশ্রাম করে নিলো। চারদিকে নিবিড় অন্ধকার কালো কালো হয়ে রয়েছে, টিপ্-টিপ করে জোনাকী জ্বলছে – ঝিঁঝিঁ একটানা ঝনঝনি বাজিয়ে অরণ্য-সঙ্গীত গাইছে।
গোষ্ঠমাসী ক্যাম্পের খাটিয়ার ওপর বসে বললেন— কি রে ছারপোকা-টোকা নেই তো?
না মাসী, নুতন খাট দেখছো না! — সাহেব বললেন।
তবে একটু গড়িয়ে নিই। আজ আবার একাদশী কি না! — বলেই ট্যাক থেকে প্রকাণ্ড তামাকপাতা-পোড়ার গুড়ো দাঁতে ঘসে বস্তাটা মাথায় দিয়ে শুয়ে পড়লেন।
শিকারে যাবে না মাসী? — শুটকে সাহেব চিঁ চিঁ করে বললেন।
তোরাই আজ যা ; পরে তো আমি যাবোই। — মাসীর আদেশ শোনা গেল।
কিন্তু সাহেব জেদ ধরেছে – যাবেই যাবে এই রাতেই যাবে যুদ্ধে। সাহেবদের এইসা গোঁ কী বলবো। অনেক করে বুঝিয়েও কিছু করা যায় না। শেষে দুটাে কুলি, এক ফ্লাস্ক চা, খানিকটা বিস্কুট – এসব নিয়ে তামাটে দাড়িতে হাত বুলাতে বুলাতে সাহেব বনে রওনা হলেন।
খানিকটা দূর এগোতেই একটা মস্ত কোলাবাঙ তার ছেলেপুলেদের নিয়ে জলার ধারে বসে জোনাকীর প্রদীপ জ্বলে কচ্ছপের টেবিলের ওপর বই রেখে পিঁপড়ে আর পিঁপড়ীর গল্প পড়ে শোনাচ্ছিল। শুটকে সাহেপ পাশ দিয়ে যেতে সে চোখের চশমা নাকে চড়িয়ে বললে — ওটা আবার কে যায়। — সাপ-টাপ তো নয়? — আর সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙের তিন ছেলে ছড়া কেটে বললে –
শুঁটকী চামচুটকি সিঙ্গী মাছের ঝোল
শুটকীর টিকি ধরে তোল।
ভারি বেয়াদব ছেলেদের একটা ধমক দিয়ে ব্যাঙ বললে – এই রাতে চলছে শিকার করতে ! ছোঃ
সাহেব বললেন — কী বলে রে ওরা?
ও সব বাজে কথায় কান দেবেন না সার, চলুন।
বনবেড়ালের দল, হায়েনা, ইঁদুর ছুটে পালালো। ওদের দেখে কিন্তু সাহেব কিছুতেই ভয় পেলেন না, বন্দুকটাকে শক্ত করে ধরে হেঁটে চললেন।
দুটাে জলা পেরিয়ে ওরা একটা বড় গাছের ওপর চড়ে বসলো। এখানেই জন্তুজানোয়ারের প্রধান আড্ডা কিনা, তাই।
একটা কিছু ঘটবে বা ঘটতে যাচ্ছে ভেবে কেষ্টার চোখের তারা দুটাে রাজভোগের মত আকার নিলো, বললেঃ তারপর?
তারপর সব জস্তুদের মিটিং বসবে। একটা খেঁকশেয়াল হোয়া হোয়া করে তা প্রচার করে দিয়ে গেল। সভা বসবে, তাই ছোট ছোট বাচ্চার দল ভিড় করেছে – খরগোসরা ছুটোছুটি করছে। দূরে জলার পাড়ে হরিণরা লক্ষ্য করছে ব্যাপারটা কী ঘটতে যাচ্ছে।
মাইক বসেছে। কচুফুলের মালা গেথেছে হনুমানের দল। সভাপতি সিংহ আর উদ্যোক্তা জিরাফ। সবাই এসেছে। হাতী, বাঘ, সিংহ, হায়েনা – কেউ বাদ নেই। হায়েনারা ফট্কের মত হি-হি করছে এমন সময় সভাপতি বললেন – একটা বেশ গন্ধ পাচ্ছি – বেশ চপকাটলেটের মত ।
সাহেবের তো মুখ শুকিয়ে গেছে। গলা দিয়ে হেঁচকি উঠছে – হিক -হিক-হিক! গুপ্তচর — গুপ্তচর জিরাফ অমনি তার আঁকশির মত গলাটা গাছের দিকে প্রসারিত করতে লাগলো।
সাহেব যতই ওপরে ওঠেন – জিরাফ ততই গলা লম্বা করে। সভার মধ্যে হাসির বন্যা বলে গেল — হি, হি – হে, হে — হেউ — হেউ হায়েনারা এ ওর গায়ে চিমটি কেটে হাসতে লাগলো। সে কি হাসি !
শেষে আর উপায় নেই দেখে সাহেব বললেন – আমার কুলিরা পালিয়েছে, আমায় মেরো না। আমার বন্দুক পড়ে গেছে – পোটলা-পুটলী হারিয়ে গেছে --
বাজে বকিস নি – বলেই সিংহমশাই একটা হুঙ্কার দিলেন, আর সঙ্গে সঙ্গে ভালুকের দলের সে কি উৎসাহ ! তারা শালুক খায় আর বলে – টেনে নামা – টেনে নামা।
জিরাফ আঁকশির মত গলায় দিয়ে পাকা আমটির মত কেটলী সাহেবকে পেড়ে ফেললে।
তারপর -- তারপর — কেষ্টা বললে ।
তারপর আর কী একেবারে হুম্বা হুম্বা নাচ শুরু হয়ে গেল চারদিকে।
সকালে আলো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তেই সেই কুলি দুটো লাফিয়ে উঠলো এঁদো পুকুর থেকে। তারপর নাক-কান থেকে ব্যাঙচিগুলো ঝেড়ে ফেলে ছুটে খবর দিলো — নিদারুণ সংবাদ, যুদ্ধে কেটলী সাহেব বন্দী।
শুনে গোষ্ঠমাসির টিকি রাগে অপমানে তরমুজের বেঁটার মত খাড়া হয়ে উঠলো। তিনি হুঙ্কার ছাড়লেন – হরি – হরি! এসব শুকনো লঙ্কা নিয়ে গণ্ডার শিকারে আসা? ছি—ধিক্ ওর জীবনে। ওরা ওকে শুকতনী বানিয়ে খাক—আমি কিছু বলবো না।
কিন্তু কুলি দুটো কেঁদে পড়ল – মাইজী—
তোমার গোষ্ঠমাসী তবে কি শিকারী ? — কেষ্টা বললে।
আরে তাই তো বলছি – শোন না। মাসী সন্ধ্যের আগেই সবাইকে ঠিক করে নিলেন। তারপর নিজে সেজেগুজে তৈরী হয়ে চললেন বনের ভেতরে। পেছনে চলেছে মুটের মাথায় সেই বস্তা – আর মাসীর পায়ে সেই সুপুরীর খোলার চটি নারকোল দড়ি দিয়ে বাঁধা। পরনে গেরুয়া ধুতি আর নামাবলী আর হাতে বন্দুকের মত করে ধরা বাটা। বনের মধ্যে ঢুকতে ঢুকতেই অন্ধকার হয়ে এলো। কিন্তু একটু সাড়া-শব্দ নেই। মাসী বললেন – ওরা এখন বসেছে কেটলী সাহেবকে সায়েস্তা করতে। তাড়াতাড়ি এগিয়ে চল।
বনের ভেতর আবার সেই জায়গা। মাসী একটা গাছের আড়ালে লুকিয়ে শুনলেন। সভা বসেছে। ঢোঁড়া সাপের দড়ি দিয়ে উটের সঙ্গে সাহেবকে শক্ত করে বেঁধেছে আর মাঝে মাঝে প্রশ্ন করছে – তোরা আমাদের চিড়িয়াখানায় বন্ধ করে রাখিস কেন?
কেটলী সাহেব যেন কী বলতে গেলেন, কিন্তু গলা দিয়ে আওয়াজ বেরুলো না। ডোরা বাঘের দিকে আঙুল দেখিয়ে সিংহ বললে – ওকে তিন মাস আগে খাঁচায় বন্ধ করে কলা দেখিয়েছিস আর ছোলা ভিজে খেতে দিয়েছিস?
আমি না স্যর— ওটা বিল্টুর কাকা।
হোক বিল্টুর কাকা — তাকে তো আর পাওয়া যাচ্ছে না!
এর মধ্যে গোষ্ঠমাসীর ইসারায় কী যেন কাজ চলছে নিঃশব্দে। কেউ জানতে পারছেন না কিন্তু ! ধীরে ধীরে ওরা কি যেন করছে।
তোরা এই নিরীহ ছেলেমানুষ বাঁদরগুলোকে ফ্রক পরিয়ে ফুলমণি আর গোপালবাবু সাজিয়ে দরজায় দরজায় নাচাস। আর তোদের বখাটে ছেলেগুলো ছড়া কাটে – বাঁদর, কলা খাবি? আজ আমরা তোদের সমস্ত দুর্ব্যবহারের প্রতিশোধ নেবো। আমরা তোকে তেঁতুলগোলা, কাঁচা লঙ্কা, নুন আর লেবুর রস দিয়ে ছোলা ভিজার সঙ্গে মিশিয়ে খাবো। দেখি তোকে কে বাঁচায় ? — বললে সিংহ।
বলার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত বনের ভেতরে আগুন জ্বলে উঠলো শুকনো পাতায় আর সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাচ— ফাচ – ফ্যাঁচচো – আওয়াজে সমস্ত বনভূমি কম্পিত হয়ে উঠলো। সবাই যে যার প্রাণ নিয়ে পালাচ্ছে। সজারু এতক্ষণ এক কোণায় বসে গায়ের কাঁটা দিয়ে ছেলের গায়ের সোয়েটার বুনছিল, সে হঠাৎ দু’হাত দিয়ে খুচ-খুচ করে নাক ঘসে হাঁচলো— হ্যাঁচচো-হ্যাঁচচো—
গোষ্ঠমাসী বস্তা ভরে তামাকপাতা এনেছিলেন, সমস্ত বনে তাই ছড়িয়ে তাতে আগুন দিয়েছেন – আর রক্ষে আছে?
কেটলী সাহেব চারদিকে তাকিয়ে দেখলে সে মুক্ত, সবাই পালাচ্ছে যে যার মত। আর দূরে একটা পাথরের ওপর হিটলারের মত গোফহীন গোষ্ঠমাসী বসে বসে মালা জপ করছেন। আর কুলির দল আনন্দে নাডুগোপালের মত গদ-গদ হয়ে বসে বসে গান ধরেছে— মৌসীকী হিম্মত দেখো—
কেটলী সাহেব পড়ি কি মরি মাসীর কাছে ছুটে এসে প্রণাম করে বললেন – ধন্যি মেয়ে তুমি মাসী। তোমায় গড় করি।
হরি — হরি! — মাসী কপালে হরিনামের ঝোলা ঠেকালেন। সেই শুনে কুলির ছুটে এসে গোষ্ঠমাসীকে ঘিরে নাচতে লাগলে – হরিবোল – হরিবোল —
সাহেব বললেন – হরিবল – গোস্ট আনটি – হিপ – হিপ – হুররে!
ডাউনলোড PDF: ডাউনলোড
0 coment�rios: