Home Top Ad

Responsive Ads Here

Search This Blog

     শীতের পাতা ঝরা শেষ হয়েছে সেই কবে। পশ্চিম থেকে মাতাল হাওয়া দিগদিগন্ত দাপাদাপি করে চলে যায়। পাহাড়ের গায়ে পাথরের ফাঁকে ফাঁকে হাওয়ার ...

তিন পাহাড়ের হরিণ | ১ | - শওকত আলী

     শীতের পাতা ঝরা শেষ হয়েছে সেই কবে। পশ্চিম থেকে মাতাল হাওয়া দিগদিগন্ত দাপাদাপি করে চলে যায়। পাহাড়ের গায়ে পাথরের ফাঁকে ফাঁকে হাওয়ার ঝাপটা শিস দিয়ে ওঠে, মনে হয় কোথায় কোন গুহার ভেতর স্যাতসেঁতে অন্ধকার থেকে হিংস্র ময়াল তার শিকার দেখে শীৎকার দিয়ে উঠছে।
     দিনের পর দিন চলে যাচ্ছে। দিগন্ত ঘোলাটে, প্রখর সূর্য মাথার ওপরে জ্বলে যায়, বনের ভেতর গাছতলায় শুকনো পাতার রাশ ওড়ে। পাতাঝরা ডাল-পালায় হাওয়ার ঝাপটা নিজেকে কেবলি আছড়ায়। প্রখর শুকনো হাওয়া বুকের ভেতরকার রসটুকু পর্যন্ত শুষে নিয়ে যায়। বুক জোড়া পিপাসা হাহা করছে চারদিকে।
     হরিণের দলটা আকাশের দিকে তাকায়। আকাশটা নিষ্ঠুর। প্রখর সূর্যের দিকে তাকিয়ে দুপুর বেলা তারা পাহাড়ের গায়ে উঁচু পাথরগুলোর আড়ালে চলে যায়, আবার সূর্য ঢলে পড়লে আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে। সবার চোখ পড়ে থাকে দিগন্তের দিকে, হাওয়ার ঝটপটানি শুনলেই কান খাড়া হয়ে ওঠে। ঐ বুঝি মেঘ ডাকলো।
     তারা রুদ্ধশ্বাসে চোখ ফিরিয়ে দেখে। তারপর হতাশ হয়ে আবার মুখ ফিরিয়ে নেয়। না বৃষ্টি হবে না, মেঘ নেই আকাশে। একদিন দুদিন নয় বেশ কিছুদিন ধরে ওরা আটকা পড়ে গেছে। বহুদিন আগে যে পথে এসেছিলো, সে পথ এখন আর নেই। তারা এসেছিলো গভীর খাদের পাশ দিয়ে। এক পাথর থেকে আরেক পাথরে লাফিয়ে, লাফিয়ে। গত বর্ষার দারুণ বৃষ্টিতে কখন ধ্বস নেমে পাথরের টাইগুলো ভেসে গিয়েছে কেউ লক্ষ্য করেনি। এখন সেখানে রাস্তা নেই, গভীর খাদ।
     এমনিতে ভারী আরামে ছিলো তারা। তিনদিকে পাহাড় খাঁড়া উঁচু হয়ে উঠেছে আর একদিকে হাল্কা বন, বনের ওপারে দুপেয়েদের বাস। দুপেয়ে জানোয়ারগুলো প্রচণ্ড শব্দ করে কী যেন ছুঁড়ে মারে। তাই ওদিকে বনের জানোয়ার এগোয় না। হরিণের দলটা ওদিকে কখনো যায় নি। দলের বুড়োৱা বলে দিয়েছিলো, দু’পেয়েরা যেদিকে আছে সেদিকে কখনো যেও না। ওরা ওদিকে কক্ষনো যায় নি। সামনে আর ডাইনে বায়ে যদি হিংস্র কোন জানোয়ার থাকে তাহলে তিরিশ চল্লিশ হাত পাথুরে খাড়াই বেয়ে ওঠার মত সামর্থ আর যারই থাক ওজনে ভারী বাঘ-চিতার নেই। ছোট ছোট পাথরে ভর্তি পাহাড়ের গা, খাড়াই পাহাড়ে একবার পা ফস্কালে গড়াতে গড়াতে পাথরে ঠোক্কর খেতে খেতে নিচে আছড়ে পড়তে হবে।
     বেশ আরামে ছিলো হরিণের দলটা। খাড়াই পাহাড় ঘেরা একটুখানি সমতল। এইটুকু জায়গার ভেতরেই একটা ছোট্ট জলা, মটির ভেতর থেকে ধীর ফোয়ারায় পানি বইছে আর সেই জলার চারদিক ঘিরে সবুজ ঘাস। শীতের প্রথম দিকেও ঘন কালে শ্বাস ছিলো। এখন সবুজ ঘাস রোদে পুড়ে গিয়েছে শুকিয়ে। জলার ধার ঘেঁষে যে জায়গাটুকুতে ঘাস ছিলো তাও এখন বাচ্চা হরিণেরা খেয়ে সাফ করে দিয়েছে।
     এখন এ জায়গা থেকে বেরুনো ছাড়া বাঁচার উপায় নেই। যদি বৃষ্টি হতো, তাহলে হয়তো তাদের এতো দুশ্চিন্তা ছিলো না। বৃষ্টি হলে ঘাস গজাতো গাছপালা সবুজ হয়ে উঠতো, এক বছরের জন্যে তারা থেকে যেতে পারতো। কিন্তু বৃষ্টি নামে না, দিনের পর দিন আকাশের দিকে চেয়ে আছে আর অস্থির হচ্ছে।
     অস্থির হচ্ছে নিজেদের জন্যে নয়। বড়রা তো যেতেই পারে। বাচ্চারা এখনো ছোট ; এখনও সাহস পায় না যে প্রকাণ্ড খাদ লাফ দিয়ে পার হবে, কি ঢালু পাহাড়ের গায়ে ছড়ানো পাথর থেকে পাথরে লাফিয়ে ওপরে উঠে যাবে।
     আর এ জায়গা ছেড়ে গেলেই বেঁচে গেলো তাতো নয়। এ জায়গার বাইরে কোথায় যাবে? কোথায় খুঁজে বেড়াবে ঘাসের দেশ? যদি না পাওয়া যায়? শুধু দলসুদ্ধ সবাইকে খুঁজেই বেড়াতে হয়, তাহলে বনের হিংস্ৰ জানোয়াররা কি ছেড়ে দেবে? এ তল্লাটের শয়তান হচ্ছে কালরাজ, তার নাগাল এড়িয়ে যাওয়া কি অতই সহজ?
     তাই তরুণ হরিণের পথ খুঁজে ফিরছে। একটা পথ তারা খুঁজে পেয়েছে। অতি বিপজ্জনক রাস্তা। প্রকাণ্ড এক খাদের ওপারে পর পর ক’খানা বড় পাথরের চাই ঢালু পাহাড়ের গায়ে সাজানো আছে। পাথর থেকে পাথরে লাফিয়ে ওপরে চলে যেতে হবে। কিন্তু খুব সাবধানে, একবার পা ফস্কালে, কি একটা পাথর যদি গড়িয়ে পড়ে তাহলে নিশ্চিত মরণ। সে পথ দিয়েই কেউ কেউ বাইরে যায়, খুঁজে ফেরে কোথায় আছে ঘাসে ঢাকা সবুজ মাটি। কোথায় ঝর্ণার ঠাণ্ডা পানি টলটল করছে। কোন নদীর ধারে দিগন্ত বিস্তীর্ণ সমতলে সবুজ হাওয়া খেলা করে ফিরছে।
     কিন্তু আজো সে দেশের সন্ধান কেউ দিতে পারেনি। তখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। হরিণেরা অপেক্ষা করছে একজায়গায় দাঁড়িয়ে। পথ চেয়ে আছে বাচ্চারা। কেউ কেউ কান পেতে আছে, যদি অতি পরিচিত শব্দটা শোনা যায়। সর্দার দলের মাঝখানে দাঁড়িয়ে। তার চকচকে গায়ে দিনশেষের আলোর আভা। মাঝে মাঝে সর্দার বলছে না ওরা ফিরবে না। ফিরলে তোক্ষণে ফিরে আসতো। কে জানে, হয়তো পালিয়েই গিয়েছে।
     যা বেয়াদপ ছোকরা তোমাদের ঐ চিত্রল। এক বুড়ে হরিণ নিচু গলায় মন্তব্য করে। বাচ্চারা তরুণরা কেউ কথা বলছে না। তাদের বিশ্বাস হয় না। তারা কান পেতে রেখেছে। কোথাও একটু শব্দ হলেই বুকের ভেতরে সেই শব্দের প্রতিধ্বনি শোনে।
     তারা জানে, চিত্রল ফিরে আসবে।
    আজ ভোরে, তখন পূবের পাহাড় চূড়োয় ভোরের আলো সবে দেখা দিয়েছে তখনই বেরিয়ে যায় চিত্রল অশাস্ত আর চপল। ওরা তিনবন্ধু। সেই যে গেলো, তারপর আর ফেরেনি। ওরা কী খবর নিয়ে আসে সেই জন্যে এখন সবার অপেক্ষা। বুড়োরা আর সর্দার নিজেদের মধ্যে কী যেন কানাকানি করছে। এক সময় সর্দার জিজ্ঞেস করলো, তোমরা দেখেছে কেউ, ওরা কোন দিকে গেছে? 
=================================
     একটু থেমে আবার জিজ্ঞেস করে, ওরা কি কাউকে কিছু বলে গিয়েছে?
    সর্দারের কথার জবাব কেউ দেয় না। কেউ জানলে তা! চিত্রল কাউকে কিছু বলে না। অশান্ত চপল তার অত বন্ধু,তারাও জানে না। সে কারো শাসন মানতে চায় না। জাতের নিয়ম কানুনের পরোয়া করে না। যখন ইচ্ছে, যে দিকে ইচ্ছে চলে যায়। আবার ইচ্ছেমত ফিরে আসে। যা কিছু কথা ওর, সব বাচ্চাদের সঙ্গে। তাদেরকে ও গল্প শোনায়,কোথায় আকাশ ঝকঝকে নীল। কোথায় বিশাল হ্রদে রাতের জ্যোৎস্না ছলোচ্ছল ঢেউ দিয়ে মাটি ছুয়ে যায়—কোথায় মাইলের পর মাইল জুড়ে শুধু সবুজ আর সবুজ।
     সে বলে আর তার দু'চোখের ভেতরে কেমন যেন কোমল আলো জেগে ওঠে। ওর কথা শুনতে শুনতে বাচ্চাদের শরীরে কী রকম কাঁপ লেগে যায়। গল্প বলা শেষ হলে বাচ্চা হরিণদের ডেকে বলে, আমরা একদিন সেই দেশে যাবো।
     তারপর সে নাচতে আরম্ভ করে দেয়। বলে, আমরা এমনি নাচতে নাচতে যাবো, চলো এসো সবাই।
    তখন সেই জ্যোৎস্নার মধ্যে খোলা মাঠে ওদের নাচ সুরু হয়ে যায়। খটখট খটখট গ্ররে তুররে শব্দ বাজতে থাকে। পাহাড়ে পাহাড়ে সেই শব্দ অফুট প্রতিধ্বনিত হতে থাকে অনেকক্ষণ ধরে। অনেক রাত হয়ে যায়, তবু বাচ্চারা মায়ের কাছে ফেরে না।
     সেই চিত্রলের মনের খবর কে বলবে? দস্যিপনায় তার জুড়ি নেই, দুঃসাহসের সীমা নেই। সর্দার ফের জানতে চাইলো, কেউ বলতে পারে কি না, চিত্রল কোন দিকে গিয়েছে। কেউ বলতে পাবে না।
     সর্দার চিত্রলকে শাসন করো, চপলের বাবা কথা বললো হঠাৎ৷ 
     সর্দার মুখ ফেরায়। অশান্ত আর চপলের মা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে। তাদের দু'চোখের ভেতরে কী রকম একটা অজানা ভয় থমথম করছে।
     অন্যান্য বুড়োরাও তখন বলাবলি করে, নিশ্চয়ই কিছু একটা হয়েছে। ছোকরা যা গোয়ার। একেক দিন রাত হয়ে যায়। তবু সে ফেরে না। সারা বনময় ঘুরে বেড়ায়। চওড়া চওড়া খাদ, নিচে তাকালে বুক কেঁপে ওঠে,তাও সে হাসতে হাসতে লাফ দিয়ে ডিঙিয়ে চলে যায়।
     আজ হয়তো অনেক দূরে কোথাও গেছে। ফেরার কথা হয়তো মনেই ছিলো না। যখন মনে হয়েছে তখন হয়তো পথ খুঁজে পাচ্ছে না। আর যদি - - - - -
     কথাটা ভাবতেই বুক কেঁপে ওঠে ভয়ে। কথাটা কেউ মুখ দিয়ে উচ্চারণও করতে চায় না। কিন্তু মনে মনে সবাই বোঝে। সবাই দেখেছে তাকে। কী ভয়ঙ্কর দেখতে। শয়তানটা বহুদিন ধরে তাদের দলের পেছনে লেগে আছে। হলদে গায়ে কালো কালো ডোরা, মাথাটা কী প্রকাণ্ড, চোখ জোড়া অসম্ভব নিষ্ঠুর, দেখলেই হাত-পা হিম হয়ে আসতে চায়। কতবার সে পিছন থেকে লাফিয়ে পড়েছে। দল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে কোন শিশু হরিণকে। সর্বদা তটস্থ থাকতে হতো তখন। এ জায়গায় আস্তানা নেওয়ার পর আর সে হামলা করতে আসতে পারে না। কিন্তু লোভ তার যায়নি। কতদিন দেখা গেছে, টিলার ওপর মাথা তুলে দৃপ্ত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে। রাগে গরগর করছে, ল্যাজ আছড়াচ্ছে, আর থেকে থেকে কী হুঙ্কার।
     সবাই দেখেছে শয়তানটাকে। সবারই বুকের ভিতরে আশঙ্কা থমথম করে উঠলো। যদি কালরাজের মুখে চিত্রল চপল অশান্ত পড়ে, তাহলে?
     কথা বলতে পারে না কেউ। সর্দার মাথা উঁচু ডাইনে-বায়ে তাকালো। না কোথাও কোন সচল কিছু দেখা যায় না। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। একটুপর আর কিছুই দেখা যাবে না সর্দার ডেকে জিজ্ঞেস করে সবাইকে, ওদের খুঁজতে যাবে কেউ?
     কেউ সাড়া দেয় না। গাছে পাতা নেই, তবু যেন নিম্পত্র ডাল থেকে উষ্ণ নিঃশ্বাস এসে লাগছে কারো কারো গায়ে।
    ওদের চুপ করে থাকতে দেখেই কি না কে জানে সর্দার গালাগাল দিতে আরম্ভ করলো, ভীরুর দল, তোদের মরাই ভালো।
     বাচ্চারা দূর থেকে দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছিলো, ওরা একসঙ্গে কথা বলে উঠলো। বললো, সর্দার পথ ঘাট চেনে, বুড়োর রাক্ষুসে জানোয়ারদের চেনে, আমরা কেউ চিনি না। বড়রা যাক, ওদেরই যাওয়া উচিত প্রথমে।
     ওদের কোলাহল শুনে ধমকে ওঠে সর্দার, এ্যাই চোপ। শিং বাগিয়ে ধরে বলে, চ্যাঁচাবি তো খুঁচিয়ে মারবো।
    গালাগাল করতে থাকে সর্দার। বলে অমন বেয়াদপ হরিণ দলের কুলাঙ্গার। কালরাজ যদি ওকে চিবিয়ে খায় তবে তার উচিত শাস্তি হয়।
     হরিণের চুপ করে শোনে। তিনটে বুড়ো ছিলো, শিঙ্গের ভারে মাথা নুয়ে পড়েছে তাদের। তারা মাথা নেড়ে নেড়ে বলে, হ্যাঁ ঠিকই তো, ছোকরা আমাদের কথা শোনে না। গোয়ার একরোখা। ওর বাপের মত, বাপকে খেয়েছিলো কালরাজ, ছেলেকে কি আর ছেড়ে দেবে।
     সর্দারের কথা শোনার পর অশান্ত আর চপলের মা ডাক ছেড়ে কেঁদে উঠলো। চিত্রলের জন্যে কাঁদবার কেউ নেই। শুধু বাচ্চারা চিত্রলের কথা ভাবতে লাগলো। তাদের তীর বেগে ছোটার কায়দা কে শেখাবে? হিংস্ৰ জানোয়ার সামনে এলে কি ভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে, কি ভাবে ক্ষিপ্রগতিতে তার চোখে ধূলো দিতে হবে, কার কাছে শিখবে এ সব? আর কে বলবে জ্যোৎস্নালোকিত হ্রদের গল্প? পাঁচ-পাহাড়ের চুড়োয় যেখানে রুপোর মত বরফ ঝলমল করে সেখান থেকে কেমন করে ঝর্ণাধারা বয়ে আসে, কোথায় যেন সমুদ্র আছে, শুধু নীল পানি, আর তার বুকে পাহাড়ের মত ঢেউ অনবরত দুলছে। কে শোনাবে তাদের এসব কথা? বড়দের জটলা থেকে বাচ্চারা একপাশে সরে দাঁড়ায়। কথা বলে না কেউ। তাদের আপন বলে আর কেউ থাকবে না। আর কেউ বলবে না যে দুনিয়া অনেক বড়। এই শুকনো বনভূমি পার হয়ে
পাহাড়ের ওপারে যে আরো সবুজ দিগন্ত আছে, সেই বিপুল মুক্তির কথা শোনাবার জন্যে আর কেউ থাকবে না তাদের কাছে।
     কারো কারো চোখে পানি টলমল করে ওঠে। আর ঠিক তক্ষুনি কে যেন বলে উঠলো, এই চুপ। শোনো তো কিসের শব্দ। সবাই চুপ করতেই শোনা গেলো, হ্যাঁ আসছে। খুরে খুরে শব্দ বাজছে নাচের ছন্দের মত। ততক্ষণে অন্ধকার হয়ে গিয়েছে। ভাঙ্গা চাঁদ ঝুলছে পাহাড়ের ওপরে। আর সেই জ্যোৎস্নায় ক্রমশঃ স্পষ্ট দেখা গেলো। তিনটে সজীব অন্ধকার যেন ধেয়ে আসছে। কাছে আসতেই চেনা গেলো। তিন বন্ধু—চিত্রল, অশান্ত, চপল।
     ওরা হাফাচ্ছিলো, চপল বললো, কালরাজ তাড়া করছিলো পেছনে, বাববাঃ শয়তানটা কী দৌড়ায়। অশান্ত ধমকে উঠলো, চুপ করবি তুই। আর বলবার কথা পেলি না।

0 coment�rios: