একবার নাসিরউদ্দিনের এক বন্ধু তাকে একটি মুরগী উপহার দিলেন খাবার জন্য। নাসিরউদ্দিন খুব খুশী হয়ে সেটির মাংস বন্ধুকে খাওয়ালেন,—নিজেরাও খেলেন।
সন্ধ্যাবেলা কতকগুলো বদমাস ছেলে নাসিরউদ্দিনের বাড়ীতে হাজির৷ এসে বললেন, “আপনাকে যিনি আজ সকালে মুরগী ভেট দিয়েছেন, আমরা সেই বন্ধুর বন্ধু।
নাসিরউদ্দিন কী আর করেন, ভদ্রত রক্ষার্থে হাতের কাছে কিছু না পেয়ে ও-বেলার হাড়গুলোকে সিদ্ধ করে প্রত্যেককে এক বাটি করে সুরুয়া দিয়ে বলেন— গরম গরম সুরুয়া খেয়ে নিন। তারা খেতে খেতে বললে—“মোল্লাৰ্জী, এটা কি ধরণের ঝোল?
‘ওটা হোল মাংসের ঝোলের ঝোল।’ অগত্যা ছেলেগুলো ঐ ঝোল খেয়েই বাড়ী গেল রাগে গজগজ
করতে-করতে।
সে রাগ মেটাতে তারা মাঝরাতে আর একদল ছোড়াকে পাঠায় মোল্লার বাড়ীতে।
‘মোল্লা সাহেব, আজ সকালে যিনি মুরগী দিয়ে গেছেন, আমরা তাঁর বন্ধুর বন্ধু। রাতে থাকতে আর খেতে চাই।
মোল্লা ওদের বদমায়েশী বুঝতে পেরে খানিক পরে খেতে ডেকে ঝোল পরিবেশন করলেন সবাইকে। তারা খেতে খেতে—"এ কি ঝোল মোল্লাজী? কেমন যেন সাবান-সাবান গন্ধ।’
‘এটা হোল মুরগীর ঝোলের ঝোলের ঝোলের ঝোল। সাবান দিয়ে বাসন-মাজা গরম জল দিয়েই এ ভাবে ওদের জব্দ করলেন মোল্লা।
0 coment�rios: