ছোটবেলায় নাসিরুদ্দিন মক্তবে পড়তে গেলেন । তাঁর মৌলবী, যিনি ছিলেন খুব কঞ্জুষ, হঠাৎ তার এক আত্মীয় প্রতিবেশীর তলব পেয়ে যাবার উদ্যোগ করলেন ।
এদিকে হয়েছে কী, সেদিন মৌলবীর কাছে কোনো এক প্রাক্তন ছাত্র চালের পিঠা মধুতে ডুবিয়ে ভেট পাঠিয়েছে।
আত্মীয়ের জরুরী তলব, খাবার সময়ও নেই; তাই ঐ পিঠার হাড়িটার মুখ বন্ধ করে ছাত্রদের বলে গেলেন মৌলবী, দেখ বাপু, এই হাঁড়িতে বিষ আছে। সাবধান, খুব সাবধান, ভুলেও দেখতে যেও ন।’
মৌলবীর চরিত্রটা অজান ছিল না ঐটুকু বাচ্চ নাসিরুদ্দিনের। তিনি হাড়ি খুলে দিব্যি সরেস পিঠেগুলো নিজে তো খেলেনই, অধিকন্তু সহপাঠীদের বিলিয়ে শেষ করে,—মক্তবের আসবাবপত্রের কিছুটা ভাঙচুর করলেন। তারপর গভীরমুখে পড়তে বসে গেলেন।
মৌলবী ফিরে এসে হাড়ি খুলে দেখেন, কিছুই নেই ; জিগ্যেস করেন, হাড়ি ভর্তি বিষ কোথায় গেল ?নাসিরুদ্দিন উঠে দাঁড়িয়ে বলেন -মৌলবী সাব, আজ আমার পড়া হয়নি বাড়ীতে কাজ ছিল বলে। তাই মনের দুঃখে রাগে আপনার আসবাবপত্র ভেঙ্গেছি। কিন্তু ভাঙ্গার পর মনে আরো অনুশোচনা আসায় দুঃখে হাড়ির সবটুকু বিষ খেয়ে এখন মরার অপেক্ষায় আছি ! আপনি নিশ্চয়ই মরার ওপর খাড়ার ঘা দেবেন না।’
0 coment�rios: