নাসিরউদ্দিন একদিন, কেন কী জানি, দরবার চলাকালীন সমস্ত উজীর-ওমরাহকে কষে গালাগালি দিলেন যে ওরা নির্বোধ, ওদের কথায় কোন দাম নেই, ওদের মতামতে ঐক্য নেই-ইত্যাদি, ইত্যাদি ।
এ ধরণের অশিষ্টাচার উপেক্ষা করা যায় না। বাদশা তলব করেন নাসিরউদ্দিনকে । মোল্লা, তোমার এসব কথার অর্থ কি ?
মোল্লা বললেন—“আমি ঠিকই বলেছি শাহেনশা। ওদের সবার কথা এক নয়। প্রত্যেকের আলাদা কথা। প্রমাণ চান, ওঁদের কাগজ-কলম নিয়ে বসতে বলুন।
বাদশার কথায় অনিচ্ছাসত্বেও এহেন পরীক্ষায় বসেন সবাই।নাসিরউদ্দিন বললেন—আপনাদের তেমন কিছুই করতে হবে না। শুধু একটি বাক্যে রুটি কাকে বলে । যার যেমন জ্ঞান, তেমনি লিখলেই চলবে ।’ -
সবার জবাব পাবার পর বাদশাকে লেখাগুলো দেখতে দিলেন নসিরুদিন ।
একজন লিখেছেন : রুটি এক ধরণের খাবার।
দ্বিতীয় উজিরঃ রুটি ময়দা আর পানি দিয়ে তৈরী।
তৃতীয় ওমরাহঃ রুটি ময়দা বা আটার সেঁকা খাবার।
চতুর্থ কাজী : খোদার অমূল্য দান।
পঞ্চম জনঃ রুটি একটি পুষ্টিকর খাদ্য ।
ষষ্ঠ ব্যক্তি ; রুটি তুবেলার খাবার।
–এবারে নসিরুদিনের আবেদন জাঁহাপনার কাছে। হুজুর দেখলেন তো, সামান্য একটা রুটির ব্যাপারে এদের প্রত্যেকেরই বিভিন্ন মতামত । তাহলে অন্য কিছু বিচারের বেলায় ওঁদের মতামতের যে ভিন্নতা আছে, একথা বলে কিছু অন্যায় করেছি কি ?
0 coment�rios: