এক ছিল বুড়ো আর বুড়ি।
একদিন বুড়িকে বুড়ো ডেকে বলল:
“ও বুড়ি একবার হাঁড়িটা ছেঁচে, ময়দার টিন ছেড়ে বেছে দেখ না, একটু ময়দা পাস কিনা। একটা গোল রুটি করে দিবি?
বুড়ী কখন একটা মোরগের পাখনা নয়ে বসে গেল। হাঁড়ি ছেঁচে, ময়দার টিন ঝেড়ে, কোন রকমে দুমুঠো ময়দা বের করল।
ময়ান দিয়ে বুড়ী ময়দাটুকু ঠাসলো। তারপর সুন্দর একটা গোল রুটি তৈরী করে, ঘিয়ে ভেজে, রেখে দিল জানালার ওপরে জুড়াবার জন্য।
গোল রুটি আছে, আছে, হটাৎ গড় গড় গড়- গড়াতে শুরু করল-- জানালা থেকে বেঞ্চি, বেঞ্চি থেকে মেঝে, মেঝে থেকে গড়িয়ে দরজায় কাছে এসে একলাফে চৌকাঠ ডিঙিয়ে সোজা বারান্দা, বারান্দা পেড়িয়ে সিঁড়ি, সিঁড়ি পেড়িয়ে উঠান, উঠান পেড়িয়ে ফটক, চলল তো চললই।
গোলরুটি গড়াতে গড়াতে চলেছে, পথে দেখা এক খরগোসের সঙ্গে।খরগোস বলল:
“গোলরুটি, গোলরুটি, তোকে আমি খাব!”
গোলরুটি বলল, “খাস না খরগোস, বরং গান গাই শোন:
ছোট্টগোল রুটি,
চলছি গুটি শুটি,
গমে ধামা চেঁছে,
ময়দার টিন মুছে,
ময়ন দিয়ে ঠেসে,
ঘি দিয়ে ভেজে,
জুড়োতে দিল যেই,
পালিয়ে এলাম সেই।
বুড়ো পেল না,
বুড়ি পেল না,
খরগোস, তুই ও পাবি না!”
খরগোস চোখের পাতা ফেলতে না ফেলতে রুটি গড়িয়ে চলে গেল বহুদূর। গোলরুটি গড়াতে গড়াতে চেলেছে, পথে দেখা এক নেকরের সঙ্গে।
‘গোলরুটি, গোররুটি, তোকে আমি খাব!’
‘পাঁশুটে নেকড়ে, খাস না, গান গাই শোনঃ
ছোট্টগোল রুটি,
চলছি গুটি শুটি,
গমে ধামা চেঁছে,
ময়দার টিন মুছে,
ময়ন দিয়ে ঠেসে,
ঘি দিয়ে ভেজে,
জুড়োতে দিল যেই,
পালিয়ে এলাম সেই।
বুড়ো পেল না,
বুড়ি পেল না,
ওরে নেকড়ে, তুই ও পাবি না!”
নেকড়ের চোখের পাতা ফেলতে না ফেলতে রুটি গড়িয়ে চলে গেল বহুদূর। গোলরুটি গড়াতে গড়াতে চেলেছে, পথে দেখা এক ভালুকের সঙ্গে।
‘গোলরুটি, গোররুটি, তোকে আমি খাব!’
‘ওরে ট্যারা-থাবা ভালুক, আমায় খাওয়া তোর কম্ম নয়!’
ছোট্টগোল রুটি,
চলছি গুটি শুটি,
গমে ধামা চেঁছে,
ময়দার টিন মুছে,
ময়ন দিয়ে ঠেসে,
ঘি দিয়ে ভেজে,
জুড়োতে দিল যেই,
পালিয়ে এলাম সেই।
বুড়ো পেল না,
বুড়ি পেল না,
খরগোস পেল না,
নেকড়ে পেল না,
ভালুক, তুই ও পাবি না!”
ভালুকের চোখের পাতা ফেলতে না ফেলতে রুটি গড়িয়ে চলে গেল বহুদূর। গোলরুটি গড়াতে গড়াতে চেলেছে, পথে দেখা এক শেয়ালের সঙ্গে।
‘গোলরুটি, গোলরুটি, বল্ তো, গড়িয়ে গড়িয়ে চললি কোথায়?’
‘চলেছি রাস্তা বেয়ে।’
‘তো বেশতো একটা গান শুনিয়ে যা না ভাই“’
গোল রুটি গান শুরু করলঃ
ছোট্টগোল রুটি,
চলছি গুটি শুটি,
গমে ধামা চেঁছে,
ময়দার টিন মুছে,
ময়ন দিয়ে ঠেসে,
ঘি দিয়ে ভেজে,
জুড়োতে দিল যেই,
পালিয়ে এলাম সেই।
বুড়ো পেল না,
বুড়ি পেল না,
খরগোস পেল না,
নেকড়ে পেল না,
ভালুক পেল না;
সেয়ানা শেয়াল, তুই ও পাবি না!’
শেয়াল বলল, ‘বা! খাসা গান! কিন্তু দুঃখের কথা কি বলবো ভাই, কালে ভালো শুনতে না পাই! এক কাজ কর্, আমার কানে বসে, গান ধর কষে।
একলাফে শেয়ালের কানে চড়ে বসল গোল রুটি। তারপর জোর গলায় গার ধরল।
শেয়াল তবু আবার বলেঃ
‘গোলরুটি, গোলরুটি, একটু জিভের ‘পরে, শেষবারটি শুনয়ে দে রে।’
গোলরুটি এক লাফে গিয়ে বসল শেয়ালের জিভের উপর ব্যস্-- শেয়ালও তেমনি খেয়ে ফেলল।
--সমাপ্ত--
একদিন বুড়িকে বুড়ো ডেকে বলল:
“ও বুড়ি একবার হাঁড়িটা ছেঁচে, ময়দার টিন ছেড়ে বেছে দেখ না, একটু ময়দা পাস কিনা। একটা গোল রুটি করে দিবি?
বুড়ী কখন একটা মোরগের পাখনা নয়ে বসে গেল। হাঁড়ি ছেঁচে, ময়দার টিন ঝেড়ে, কোন রকমে দুমুঠো ময়দা বের করল।
ময়ান দিয়ে বুড়ী ময়দাটুকু ঠাসলো। তারপর সুন্দর একটা গোল রুটি তৈরী করে, ঘিয়ে ভেজে, রেখে দিল জানালার ওপরে জুড়াবার জন্য।
গোল রুটি আছে, আছে, হটাৎ গড় গড় গড়- গড়াতে শুরু করল-- জানালা থেকে বেঞ্চি, বেঞ্চি থেকে মেঝে, মেঝে থেকে গড়িয়ে দরজায় কাছে এসে একলাফে চৌকাঠ ডিঙিয়ে সোজা বারান্দা, বারান্দা পেড়িয়ে সিঁড়ি, সিঁড়ি পেড়িয়ে উঠান, উঠান পেড়িয়ে ফটক, চলল তো চললই।
গোলরুটি গড়াতে গড়াতে চলেছে, পথে দেখা এক খরগোসের সঙ্গে।খরগোস বলল:
“গোলরুটি, গোলরুটি, তোকে আমি খাব!”
গোলরুটি বলল, “খাস না খরগোস, বরং গান গাই শোন:
চলছি গুটি শুটি,
গমে ধামা চেঁছে,
ময়দার টিন মুছে,
ময়ন দিয়ে ঠেসে,
ঘি দিয়ে ভেজে,
জুড়োতে দিল যেই,
পালিয়ে এলাম সেই।
বুড়ো পেল না,
বুড়ি পেল না,
খরগোস, তুই ও পাবি না!”
‘গোলরুটি, গোররুটি, তোকে আমি খাব!’
‘পাঁশুটে নেকড়ে, খাস না, গান গাই শোনঃ
চলছি গুটি শুটি,
গমে ধামা চেঁছে,
ময়দার টিন মুছে,
ময়ন দিয়ে ঠেসে,
ঘি দিয়ে ভেজে,
জুড়োতে দিল যেই,
পালিয়ে এলাম সেই।
বুড়ো পেল না,
বুড়ি পেল না,
ওরে নেকড়ে, তুই ও পাবি না!”
‘গোলরুটি, গোররুটি, তোকে আমি খাব!’
‘ওরে ট্যারা-থাবা ভালুক, আমায় খাওয়া তোর কম্ম নয়!’
চলছি গুটি শুটি,
গমে ধামা চেঁছে,
ময়দার টিন মুছে,
ময়ন দিয়ে ঠেসে,
ঘি দিয়ে ভেজে,
জুড়োতে দিল যেই,
পালিয়ে এলাম সেই।
বুড়ো পেল না,
বুড়ি পেল না,
খরগোস পেল না,
নেকড়ে পেল না,
ভালুক, তুই ও পাবি না!”
‘গোলরুটি, গোলরুটি, বল্ তো, গড়িয়ে গড়িয়ে চললি কোথায়?’
‘চলেছি রাস্তা বেয়ে।’
‘তো বেশতো একটা গান শুনিয়ে যা না ভাই“’
গোল রুটি গান শুরু করলঃ
চলছি গুটি শুটি,
গমে ধামা চেঁছে,
ময়দার টিন মুছে,
ময়ন দিয়ে ঠেসে,
ঘি দিয়ে ভেজে,
জুড়োতে দিল যেই,
পালিয়ে এলাম সেই।
বুড়ো পেল না,
বুড়ি পেল না,
খরগোস পেল না,
নেকড়ে পেল না,
ভালুক পেল না;
সেয়ানা শেয়াল, তুই ও পাবি না!’
একলাফে শেয়ালের কানে চড়ে বসল গোল রুটি। তারপর জোর গলায় গার ধরল।
শেয়াল তবু আবার বলেঃ
‘গোলরুটি, গোলরুটি, একটু জিভের ‘পরে, শেষবারটি শুনয়ে দে রে।’
গোলরুটি এক লাফে গিয়ে বসল শেয়ালের জিভের উপর ব্যস্-- শেয়ালও তেমনি খেয়ে ফেলল।
0 coment�rios: