প্রতিরাতেই এক গৃহস্থের কুমড়া চোরে লইয়া যাইত। “রাতে সজাগ” থাকার অভ্যাস তাহার নাই। তাই সে চোর ধরিতে পারে না। একদিন গৃহস্থের আমাশয় হইল। রাতে সে কুমড়ার মাচার নিচে পায়খানায় গিয়া টের পাইল কে যেন হাঁহাঁহুহি করিতেছে। গৃহস্থ বিুঝিতে পারিল আজ চোর আসিয়াছে। সে কান খাড়া করিয়া রাখিল। এক চোর বলিল-- ভাই, আজ ছোট কুমড়া নিব না, বড় দেখিয়া নিতে হইবে।
তখন গৃহস্থ চোর ধরিবার এক ফন্দি আঁটিল। সে খুব চুপ-চুপ কুমড়ার মাচার বাঁশ ধরিয়া ঝুলিয়া রহিল। চোরেরা অন্ধকারে তাহা দেখিতে পাইল না। তাহাড়া বড় কুমড়া খুজিতে খুজিতে শেষে একটি বড় কুমড়া পাইল। চোর তাহার ভাইকে বলিল-- ভাই খুব বড় একটা কুমড়া পাইয়াছি। অন্য চোর বলিল-- দেখিস বড় কুমড়াটা পচা কিনা? চোর অন্ধকারে টিপিয়া টুপিয়া দেখিল- কুমড়াটা পচা নয়-বেশ টাটকা আছে। কুমড়াটা এতো ভারি যে, দুই চোরে তাহা কাঁধে তুলিয়া রওনা হইল। এক চোরে অপর চোরকে কহিল-- ধ্যাৎ! কী পচা কুমড়া আনলি? বাকল ছিঁড়িয়া ভিতরের পচা দুর্গন্ধময় পানি গায়ে মাথায় পড়িল।
চোর জবাব দিল- আমি তো পচা কুমড়া আনি নাই- ভালো করিয়া টিপিয়া টুপিয়া দেখিয়া আনিয়াছি। তখনি চোরেরা ধপাত্ শব্দে কুমড়াটা মাটিতে ফেলিয়া দিল। গৃহস্থ মাটিতে পড়িয়া ‘ক্যাঁক’ করিয়া উঠিল। চোরেরা দৌড়াইয়া পালাইল। চোরেরা বাড়ি ফিরিয়া বাতি দিয়া দেখিল সারা শরীরে আমাশয় রোগীর পাতলা পায়খানা লাগিয়া আছে।
গৃহস্থ কুমড়া সাজিয়া চোর ধরিতে পারিল না। কিন্তু ইহার পর তাহার আর কুমড়া চুরি হয় না।
0 coment�rios: